গত ৫ই জানুয়ারী গণতন্ত্র হত্যা দিবসে নয়া পল্টনে ২০ দলীয় জোটের কালো পতাকা সমাবেশ করতে না দেওয়া, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করার প্রতিবাদে ও সারাদেশে গ্রেফতার হওয়া ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে এবং ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ৭ম দিনে চাঁদপুরে অবরোধ সমর্থনে চাঁদপুর জেলা বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোটের মিছিল, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ী ভাংচুরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে। গত সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সম্মুখ থেকে বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোট বিক্ষোভ মিছিল বের করে। জেলা সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এড. সলিমউল্লাহ সেলিমের নেতৃত্বে মিছিলটি বের করা হয়। সকাল ৮টা থেকে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা এসে দলীয় কার্যালয়ে সমবেত হয়। এ সময় জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্র দল,তরুণ দল, কৃষক দল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে সমবেত হয়। সোমবার ভোররাত থেকে অবরোধকারীরা জেলার বিভিন্ন সড়কে পিকেটিং করেছে। এর মধ্যে চাঁদপুর-রায়পুর সড়কে গাছতলা বাগাদী এলাকায়, চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের ঘোষেরহাট, মহামায়া, বাকিলা সহ একাধিক স্থানে অবরোধ সমর্থনে টায়ার জ্বালিয়ে পিকেটিং করেছে। জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় পিকেটাররা রঘুনাথপুর এলাকার মজিব কাজীর মালিকানাধিন সিএনজি স্কুটারে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঐ গাড়ীতে থাকা চালক সাইফুল ইসলাম এক যাত্রীকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে যাচ্ছিলো। পিকেটারররা সিএনজি স্কুটারটি থামিয়ে চালক কিছু বুঝে উঠার আগেই পুলিশের সামনে গাড়ীটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় প্রাণ রক্ষার্থে গাড়ী চালক সাইফুল ইসলাম ও নারী যাত্রী গাড়ী থেকে রাস্তায় লাফিয়ে পড়ে আহত হয়। স্থানীয় জনতা তাৎক্ষনিক পানি নিক্ষেপ করে গাড়ীর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলেও ততক্ষনে গাড়ীটি পুড়ে ভষ্মিভুত হয়ে যায়। এছাড়াও রোববার রাতে অতি উৎসাহি ২ পিকেটার মাতৃমঙ্গল হাসপাতালের মোড় সম্মুখ থেকে ব্যাটারি চালিত অটো বাইকে উঠে লঞ্চঘাটে যাওয়ার নাম করে কালী বাড়ী মোড় এলাকায় আসা মাত্র ঔ গাড়ীটিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এছাড়া শহরের বিভিন্ন সড়কে অবরোধের নামে পিকেটাররা আরো ২০-৩০ টি ছোট গাড়ী ভাংচুর করে। গাড়ীতে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গির আলম ছাত্রদল কর্মী পালপাড়া এলাকার সাহাবুদ্দিন বকাউলের ছেলে রাজু বকাউল (২৬) কে জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসভবন থেকে আটক করেছে। এছাড়া একই স্থন থেকে এএসআই নন্দন সরকার মিশন রোড এলাকার আলী হোসেনের ছেলে সোহাগ(২২) ও মমিন বেপাড়ীর ছেলে মুরাদ (২০) কে আটক করেছে। গাছতলা এলাকায় চাঁদপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম দায়িত্ব পালন কালে পুলিশের ফিকআপ লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ঐ এলাকার অনিক নামে এক বিএনপি সমর্থককে আটক করে পুলিশ। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের আরো ৮ নেতা কর্মীকে আটক করেছে। ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করে নতুন বাজার থেকে কালী বাড়ী মোড় ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে এসে তা শেষ করে। মিছিলে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাড. সলিমউল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলেরর আহবায়ক অ্যাড. জাহাঙ্গীর খান, সদস্য সচিব হযরত আলী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মোঃ ইব্রাহীম জুয়েল, শহর যুবদলের আহবায়ক কাদের বেপারী সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।