শনিবার (১০ জুলাই) অগ্নিকাণ্ডে কারখানার পরিদর্শনকালে এ তথ্য জানান।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় মালিকসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আবির হোসেন শনিবার (১০ জুলাই) সকালে বলেন, ফায়ার সার্ভিস এখনও ওই ভবনে কাজ করছে। আগুন পুরোপুরি নিভিয়ে কারখানাটি তাদের বুঝিয়ে দেবে। ভবনটি বুঝে পাওয়ার পর মামলা করার আগে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরিদর্শন করবেন।
এর আগে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৫২ জনের পরিচয় জানতে ১ মাস সময় লাগতে পারে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডিএনএ পরীক্ষক মোহাম্মদ মাসুদ রাব্বী সবুজ এমন তথ্যই জানিয়েছেন। শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে তিনি এ তথ্য জানান।
এদিকে, ট্রাজেডি’র দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। শ্রমিকদের মরদেহগুলো এমনভাবে পুড়েছে যে- তাদের চেনার উপায় নেই। অধিকাংশের শরীরে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়া মাংস আর হাড় ছাড়া কিছুই পাওয়া যায়নি। চেনার উপায় নেই, কোনটি কার লাশ! যাকে যে অবস্থায় পাওয়া গেছে, সে অবস্থাতেই উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজের মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিকে স্বজনরা নিখোঁজ শ্রমিকদের মরদেহ খোঁজে মর্গের সামনে, এমনকি ট্রাজেডিস্থলে অশ্রুসিক্ত নয়নে বুকে ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। মুখমণ্ডলসহ পুরো শরীর পুড়ে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় শনাক্তের উপায় না পেয়ে স্বজনের ডিএনএ টেস্ট করার পথে হাঁটছে ফরেনসিক বিভাগ। এমন পরিস্থিতিতে স্বজনরা বলছেন, প্রিয়জনের লাশের একটি টুকরাই সান্ত্বনা এনে দিতে পারে তাদের মনে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫২ জনের মরদেহ ভবনের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।