চাঁদপুর হাজীগঞ্জে মালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে জেএসসি ফরম ফি পূরণের নাম করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অভিভাবক মহলে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা যায়।
সরে জমিনে গিয়ে জানা যায়, মালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোসেন একক ক্ষমতা বলে আসন্ন জেএসসি পরীক্ষার্থীদের অটো পাশের সিদ্ধান্তে রেজিস্ট্রেশন ভুক্ত শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা যাচাই বাছাই করে শিক্ষা বোর্ডে পূণাঙ্গ ফরম পাঠানোর নামে জন প্রতি ৫০ টাকা করে উত্তলনের নির্দেশ দেন। এতে করে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী গৌতমের কাছে জেএসসি ১১২ জন শিক্ষার্থী ৫০ টাকা করে জমা দেন।
শিক্ষা বোর্ড সৃত্রে জানা যায়, চলতি বছরে সরকার জেএসসি পরীক্ষার্থীদের অটো পাশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যালয়ের কাছ থেকে শুধুমাত্র রেজিস্ট্রেশন ভূক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝরে পড়াদের নাম বাদ দিয়ে পূণাঙ্গ তালিকা মেইলে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর এসব তথ্য যাচাই বাছাই শেষে পূণাঙ্গ নামের তালিকা টিক মার্ক দিয়ে মেইলে পাঠাতে যে খরচ হয় তাতে সব মিলিয়ে একশ টাকার বেশি খরচ নেই।
অথচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একক ক্ষমতা বলে মালিগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ১১২ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫০ টাকা করে প্রায় ৫ হাজার ৬০০ টাকা অর্থ উত্তলন করেছেন।
বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী লিপি রানী, জাহিদ হোসেন ও নাঈম জানান, জেএসসি ফরম ফি পূরণেল নাম করে অফিসে এসে আমরা ৫০ টাকা করে জমা দিয়েছি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মহিলা সদস্য মোহছেনা বেগম জানান, বিষয়টি যদি নিয়মের বাহিরে হয় তাহলে সত্যি ব্যাপারটা দুঃখজনক।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের নানা খরচ রয়েছে যে কারনে আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে উত্তোলন করেছি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে জেএসসি পরীক্ষার্থীদের রেজিষ্ট্রেশনের তালিকা রয়েছে। বিদ্যালয় থেকে এসব পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সব ঠিক আছে কিনা নামের তালিকায় শুধুমাত্র ঠিক মার্ক দিয়ে ই-মেইল করার নির্দেশনা রয়েছে। এতে কোন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার নির্দেশনা নেই। যারা উত্তোলন করেছে তা পুরাপুরি অবৈধ। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।