কখনো কখনো আপনি স্বপ্নে ভেবে থাকবেন যে বিমান সফরে একা প্লেনে উড়ে যাচ্ছেন আপনার গন্তব্যে। আবার কখনো ভাবেন আপনার ইকনমি ক্লাসের টিকিটটা যদি বিজনেস ক্লাসে করে দেওয়া হত! কিন্তু এগুলোর কোনটাই আপনার সঙ্গে হয় না। কিন্তু এরচেয়েও বড় একটা ঘটনা ঘটে গেছে মুম্বইয়ের এক ব্যক্তির সঙ্গে।
নামমাত্র ভাড়ায় মুম্বাই থেকে দুবাই যাওয়ার প্লেনের টিকিট কেটেছিলেন তিনি। ১৮ হাজার টাকার টিকিটের বিনিময়ে তিনি প্লেনে উঠে দেখেন ৩৬০ সিটের বোয়িং বিমানে তিনি একাই সফর করছেন! তাও আবার এমিরেটসের বিমানে!
৪০ বছরের ভাবেশ জাভেরি স্টারজেমস গ্রুপের সিইও। তাকে বিভিন্ন সময়েই দুবাই ও মুম্বাই যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু ১৯ মে তার সফর তার জীবনের জন্য একেবারে স্মরণীয় হয়ে গেল। তিনি কাজের জন্য এমিরেটসে ফোন করে দুবাইয়ের জন্য একটি সিট বুক করেছিলেন। তার টিকিটের মূল্য ছিল ১৮ হাজার টাকা।
তবে তিনি বেশির ভাগ সময়েই বিজনেস ক্লাসে সফর করেন। কিন্তু এবার তার টিকিট ইকোনমি ক্লাসের ছিল। তিনি সাড়ে চারটের সময় ফ্লাইটে উঠে দেখেন ক্রু মেম্বার ব্যতীত যাত্রী বলতে শুধুমাত্র তিনিই। পুরো বিমানে একজনই যাত্রী আর সেটা তিনি। এটা দেখে ভাবেশ উৎসাহিত হয়ে ওঠেন। বিমান সেবিকা ও ক্যাপ্টেন বিমানে তাকে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান।
এই আড়াই ঘণ্টার জার্নিতে বিমান উড়তে বোয়িং ৭৭৭ -র মোট ৮ লক্ষ টাকার জ্বালানি লাগে। এই অবস্থায় শুধুমাত্র একজন যাত্রী নিয়ে দুবাই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এমিরেটস। সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী দুবাই থেকে ভালো সংখ্যক যাত্রী নিয়মিত মুম্বাই আসেন। সেই কথা মাথায় রেখেই ভাবেশকে নিয়েই গোটা একটি প্লেন উড়িয়ে দুবাই গেছে এমিরেটসের ফ্লাইট। মুম্বই থেকে দুবাই যদি কোনও চ্যাটার্ড ফ্লাইট যায় তাহলে তার ভাড়া হয় ৭০ লক্ষ টাকা।
করোনাকালীন ভারতের সঙ্গে একাধিক দেশের বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কিছু দেশ আছে যেখানে ভারতীয়রা যেতে পারছেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এরকমই দেশ। তবে ইউএই-র নাগরিক, ইউএই- গোল্ডেন ভিসা প্রাপ্ত মানুষ এবং ডিপ্লম্যাটিক কাজে যারা যাচ্ছেন তারাই এই মুহূর্তে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে যেতে পারছেন।