আমার কণ্ঠ রিপোর্ট
হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও হাজীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনের মেয়র পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র আসম মাহবুব উল আলম লিপন অনেক এগিয়ে রয়েছেন। গত ৫ বছরে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। তার আচার আচরণে পৌরবাসী মুগ্ধ। সেবার জন্য পৌরসভায় অথবা মেয়রের সামনে যত মানুষে গিয়েছে কেউ চা না খেয়ে আসেনি। খবর নিয়েছেন পারিবারিকসহ নানা সমস্যার। এক কথায় খালিত হাতে কেউ ফিরে আসেননি। চেষ্ঠা করেছেন পৌরবাসীসহ দলীয় নেতার্কীদের পাশে থাকতে। এর কারনেই ৫ বছরে বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। রাজনীতির উর্ধে থেকেও চেষ্ঠা করেছেন হাত বাড়িয়ে দিতে। তারই ধারাবাহিকতায় চলিত নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসসে ততই তাঁর কর্মের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দলের ছোট থেকে বড় পর্যন্ত সবাই এক হয়ে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য ভোটারদের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। ইতি মধ্যে পৌর সভার ১২ ওয়ার্ডে নির্বাচনী জনসভা শেষ করে ঘরে ঘরে গনসংযোগ শুরু করেছেন। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীরা প্রান্ত থেকে প্রান্ত ভোটারদের নৌকা ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এ ভাবে চলতে থাকলে ৩০ জানুয়ারী নৌকার প্রার্থী বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। পৌরসভর ১২ ওয়ার্ডের ভোটারদের সাথে কথা বলেন এ চিত্র ফুটে উঠে। এ ছাড়াও পৌরসভার অফিসের সেবার মান অতীতের সকলকে ছাড়িয়ে গেছেন।
১ নং ওয়ার্ড বলাখাল দক্ষিন অঞ্চলে ঘুরে ভোটারদের সাথে কথা হয় এ প্রতিনিধির সাথে। ভোটার মজিবুর রহমান একজন রিক্সা চালক। তার ঘরে স্ত্রী-সন্তান, ছেলে, ছেলের বউ ও মেয়ে সন্তান মিলে ৬জন ভোটার। এ ৬জন ভোটারের মধ্যে ৬টি ভোটই মেয়র লিপন পাবেন। জানতে চাইলে রিক্সা চালক মজিবুর রহমান বলেন আমি আমার সমস্যা নিয়ে পৌরসভার মেয়র লিপনের কাছে গেলে তিনি সাথে সাথে আমার কাজটা করে দিয়েছেন। জিজ্ঞাস করেছেন আপনি ভালো আছে। কোন সমস্যা থাকলে সরাসরি চলে আসবেন আমার কাছে। চা খাইয়েছে। বসতে বলেছেন। সব মিলিয়ে আমি মেয়র লিপনের আচার আচরণে খুশি। এ কথা আমার স্ত্রী সন্তানদেরকে বলার পর তারাও এক মত হয়েছে ৩০ জানুয়ারী মেয়র লিপনকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা আমার দায়িত্ব। তা না হলে পরওকালে জবাব দিতে হবে।
এভাবে আরো ৩০/৪০ জন ভোটারের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমাদের যে কোন সমস্যা নিয়ে পৌরসভা গেলে মেয়র লিপন নিজ উদ্যেগে আমাদের কাজ করে দিয়েছেন। এ ছাড়াও এলাকার রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে এলাকাকে সুন্দর করার জন্য উন্নয়ন কাজ করেছেন। রাজনীতির উর্ধে থেকে তিনি আমাদের সেবা করেছেন।
২ নং ওয়ার্ডের হরি দাসে সাথে কথা হলে তিনি বলেন মেয়র লিপন আমাদের হিন্দু সনম্প্রদায়ের যে কোন সমস্যায় পাশে ছিলেন। আমরা বাড়ী থেকে আসা যাওয়া করতে অসুবিধা ছিল। তিনি আমাদের বাড়ীর রাস্তাসহ বন্দীরের জন্য অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। গ্রামের সবার মুখে আমাদের মতো তিনি সবার পাশে ছিলেন। তাই আগমামীতেও মেয়র লিপনের প্রয়োজন। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল মানুষ ৩০ জানুয়ারী নৌকা মার্কার প্রার্থী ও মেয়র লিপনকে ভোট দিয়ে আবারও মেয়র নির্বাচিত করবো।
৩ নং ওয়ার্ড খাটওরা বিলওয়ে ধেরার এলাকার ঘুরে সাধারণ ভেটারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমাদের এ ওয়ার্ডে গত ৫ বছরের যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে তা অতীতের কোন মেয়র করেনি। প্রতিটি বাড়ীর রাস্তা পাকাসহ করেছেন আলোকিত। আমরা এখন বাড়ী থেকে বের হলে বুঝায় যায় না এখন দিন না রাত। আমাদের গ্রাম এখন শহর হয়ে গেছে। তাই ভোটের দিন নৌকা মার্কার প্রার্থী মেয়র লিপনকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আগামী দিনে তিনি অসমাপ্ত কাজ শেষ করার সুযোগ পাবেন।
৪, ৫ ও ৬ নং নং ওয়ার্ড হাজীগঞ্জ বাজারসহ ছিল জলাবদ্বতা এলাকা। তেমন কোন রাস্তাঘাট ছিল না। গত ৫ বছরে মেয়র মাহবুব উল আলম লিপন আমাদের এলাকার জলাবদ্ধতা ও রাস্তাঘাটের সমস্যা সমাধানসহ সকল সমস্যা সমাধান করেছেন। আমরা রাতের বেলা দিনের আলোর মতো বাড়ী থেকে বের হতে পারি। এছাড়াও সামাজিক সমস্যাগুলো তিনি নিজে উদ্যেগ নিয়ে সমাধান করেছেন। এই কথাগুলো বলেছেন ওয়ার্ডবাসী। ৪ নং এর আবদুল জলিল, ৫নং ওয়ার্ডে হারুন অর রশিদ ও ৬ নং ওয়ার্ডের হেদায়েত উল্লাহ। তারা আরো বলেন আমরা ঐক্য বদ্ধ আছি মেয়র লিপনকে আবারও মেয়র নির্বাচিত করার জন্য।
কথা হয় হাজীগঞ্জ বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ির সাথে। তারা বলেন হাজীগঞ্জ বাজার ছিল জলাবদ্ধতার নগরি। এখন জলাবদ্ধতা কি আমরা দেখি না। অপরিছন্ন ও দুগদ্ধ বাজার কে মেয়র লিপন যেভাবে পরিস্কার পরিছন্ন করেছেন যা কাহারো পক্ষে সম্ভব ছিল না। হাজীগঞ্জ বাজারে সকাল বেলা হাটলে মনে হয় আমরা অন্য কোন শহরে বসবাস করি।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির অধ্যাশিত এলাকা। এই গ্রামের ৯০ ভাগ ভোটার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। বিএনপির বাহিরে অন্য প্রার্থীর কথা চিন্তাও করে না। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রম। গত ৫ বছরে এলাকার মানুষের পাশে ছিলেন মেয়র লিপন। দলের উর্ধে থেকে এ ওয়ার্ডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধান করেছেন। পৌরসভার উন্নয়ন থেবে বঞ্চিত ৭ নং ওয়ার্ডের চর বাড়ী নামে একটি গ্রাম। ছিল না কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা। পাকা রাস্তা তো চিন্তাই করা যায় না। কিন্তু গত ৫ বছরে বর বাড়ীতে গাড়ী নিয়ে যাওয়ার জন্য কঠিন অসম্ভবকে সম্ভব করে প্রথমে রাস্তা এবং পরে পাকা করে দিয়েছেন। এ প্রাপ্তি যেন গ্রাম বাসীর জন্য অন্য রকম অনন্দ। এখন চর বাড়ীর মানুষ নিরবিঘ্নে গাড়ী নিয়ে বাড়ীত যেতে পারেন। করে দিয়েছেন আলোকিত। প্রতিটি ঘরের সামনে বিদ্যুতের বাতি লাগিয়ে রাতকে দিন বানিয়ে দিয়েছেন। নতুন মৃধাবাড়ীর রাস্তার অভবে মানুষ যাতায়াত করতে পারে না। বাড়ীর সমস্যার কারণে রাস্তা করা যাচ্ছে না। মেয়র লিপন নিজে সরেজমিনে গিয়ে প্রথমে বাড়ীর মানুষের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করেছেন। এর পর রাস্তা এবং পরে পাকা করে দিয়েছেন। এছাড়াও আরো অনেক জটিল সমস্যা সমাধান করেছেন। ডেনেজ ব্যবস্থা করে দিয়েছেন পানি নিস্কাশনের জন্য। এখন আর জলাবদ্ধতা নেই।
ভোটাররা বলেন আমরা বিএনপি করলেও রাজনীতির উর্ধে আমরা লিপনকে ভোট দিয়ে মেয়র বানাবো। আমাদের এলাকার সমস্যা সমাধান করার জন্য।
আলীগঞ্জের ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন হাজীগঞ্জের প্রশাসনিক কেন্দ্র বিন্দ্র পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ড খ্যাত আলীগঞ্জ। বসবাস করেন প্রশাসনের সকল দপ্তরের অফিসার বৃন্দ। ঐ ওয়ার্ডেও ছিল জলাবদ্ধতাসহ নানা সমস্যা। মেয়র লিপন সকল সমস্যা সমাধান করেছেন। এখন আর আমাদের ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতাসহ কোন সেমস্য নেই। ছোট খাটো যে সমস্যগুলো রয়েছে মেয়র লিপন আবার মেয়র হলে তা সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
১০,১১ ও ১২ নং ওয়ার্ড ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন পৌর সভার সাথে যুক্ত হয়েছি আমরা কয়েক বছরে আগে। এ এলাকা ছিল ইউনিয়ন পরিষদের সাথে। পৌরসভার সথে যুক্ত হলেও অতীতে পৌরসভার সুযোগ সুবিধা তেমন আমরা পাইনি। কিন্তু গত ৫ বছরে আমাদের এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আর্সেনিক মুক্ত পানি ছিল আমাদের জন্য স্বপ্ন। মেয়র লিপন আমাদের এলাকার আর্সেনিক মুক্ত পানির ব্যবস্থা করেছেন। রাস্তা-ঘাটসহ যে সকল সমস্যা ছিল তা সমাধান করেছেন। বাকী সমস্যাগুলো তিনি আবার মেয়র হলে তা সমাধান হয়ে যাবে। আমরা দলের উর্ধে মেয়র লিপন ভোট দেবো।