মানে কালের পরিক্রমায় অনেক কিছুই হা’রিয়ে যায়। আজকে যেটা বাস্তব মনে হচ্ছে কালকে সেটা যে থাকবে তা আর জো’র করে বলা যায় না। আইটির এই যুগে কত কিছু হচ্ছে, আর আগামীতে হবে তা কল্পনা করাও কঠিন। আগের দিনে ছাপার অক্ষরের বই বা পত্রিকা দিয়ে কত যে মি’থ্যাচার হয়েছে তার লেখাজোখা নেই। মি’থ্যাচারের দিন প্রায় শেষের দিকে বলা যায়। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় তা আবার প্রমাণিত হলো। প্রকৃতির প্র’তিশোধ, মানুষর হৃদয়ের হাহাকার কত শক্তিশালী তাও দেখা গেল, মামুনুল গংদের অ’পকর্মের ফলে।
বেশ কিছুদিন ধরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, বিশেষকরে মাদ্রাসাগুলোতে ব’লাৎ’কার ও ধ”ণের মহোৎসব শুরু হয়েছিলো। কত অ’সহায় মায়ের, বাবার, বোনের, ভাইয়ের হাহাকারে বাংলার আকাশ বাতাস লজ্জায় মাথা নত করেছিলো। মনে হচ্ছিল এর বুঝি আর শেষ নেই। কিন্তু, অ’সহায় মায়ের, বাবার, বোনের, ভাইয়ের হাহাকারের বিচার মনে হয় শুরু হয়েছে। এটা প্রমাণ হয়েছে যে, মায়েরা, মেয়েরা সৃষ্টি ও ধ্বং’সের ক্ষমতা রাখেন।
“শকুনের দোয়ায় যেমন গরু ম’রে না” তেমনি অসৎ লোকের দোয়া কবুল হয় না। যারা নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননা, তারা দোয়া করে আপনার ভাগ্য পরিবর্তনের ঠিকা নেয়! আর সেটাও মানুষ বিশ্বাস করেন, আমার মাথায় আসে না এই হিসাব। আমরা অনেকেই কিছু টাকা দিয়ে হুজুরের কাছে যাই আমাদের মৃ’ত আত্মীয় স্বজনের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করাতে। যে হুজুর মাত্র কয়েক হাজার টাকা বেতনে (চু’রির টাকার উপর ভসরা করে) চাকরি করেন, তারা কীভাবে আমাদের বা আমাদের মৃ’ত আত্মীয় স্বজনের আত্মার শান্তি নিশ্চিত করবে! এটা কি বাস্তব!
হুজুরদের মূল আয় হচ্ছে রমজানে ফিতরার টাকা আদা’য়ের জন্য ছাত্রদের একটা টার্গেট দিয়ে দেওয়া। আবার কোরবানির ঈদের সময় কোমলমতি শি’শুদের চামড়ার বা টাকার টার্গেট দিয়ে দেওয়া হয়। এই টার্গেট পূর্ণ না না হলে তারা ছুটি পায়না বাড়ি ফেরার। তাই মা বাবার কাছে যেতে পা’গলের মত ছুটে টাকা আদায় করে বেড়ায়। এই টাকার হিসাবে হয় নয় ছয়। যা নিয়ে পত্র পত্রিকায় অনেক খবর বেরিয়েছে এর আগেই। হুজুররা নিজেরাও বের হন অনেক সময়। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে বছরের পর বছর হুজুর টাকা নিয়েছেন, পরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে তিনি ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক নন। তার হাতে থাকা মানি রিসিট খুব পুরাতন বা জাল।
মাদ্রাসা থেকে বেরিয়েই তথাকথিত আলেমগন নিজে নিজে নিজ নামের শেষে একটা পদবী লাগিয়ে আরেকটা মাদ্রাসা খুলে বসেন। এভাবে মাদ্রাসার নামে মি’থ্যাচার আর কিছু শিক্ষা দেওয়া ছাড়া সেখানে চলে ব’লাৎ’কার ও ধ”ণের মহোৎসব। সাথে মানুষের ধর্মীয় আবেগকে পুঁজি করে চলে সামাজিক শোষণ। আর্থিক শোষণের মাধ্যমে অর্জিত অর্থে চলে মাদ্রাসা পরিচালকদের আয়েশি জীবন আর নিত্য নতুন রমণীকে নিয়ে ব্যভিচার।
ন’ষ্ট আলম’দের মি’থ্যার বেসাতির জন্য ক্ষ’তি হয় ইসলাম ধর্মের। ইসলামের ইমেজ সং’কট শুরু হয়। ন’ষ্ট ভ্রষ্ট বাম ও নুরুদের সহায়তায় মামুনুল গংদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে সব চেয়ে ক্ষ’তি হয়েছে ইসলামের। যেমনটি হয়েছিলো ১৯৭১১ সালে। ১৯৭১ পাকিস্তানী হা’নাদারদের দোসরেরা ধর্মের নামে খু’ন, ধ”ণ, অ’গ্নিসংযোগ, লু’টপাট করায় সব চেয়ে বেশি ক্ষ’তি হয় ইসলামের। তাই দাড় টুপি দেখলে অনেক ভালো মানুষকেও সাধারণ মানুষ এখনো রাজাকার বা ১৯৭১ সালের পাকিদের সহযোগী বা তাদর আওলাদ মনে করেন। মামুনুলের সোনারগাঁও কাণ্ডেও সেই একই ধরণের ক্ষ’তি হয়েছে।
কিছু ইসলামী দলের নেতা হেফাজতকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে গত কয়েকদিনে সারাদেশে যে ধ্বং’সযজ্ঞ চা’লিয়েছে, তা ছিল স’রকারকে অ’বৈধ উপায়ে ক্ষমতাচ্যুত করার এক অশুভ চেষ্টা। “বাংলা বসন্তের” স্বপ্ন দেখেছিল তাঁরা। এতে দেশ ও দেশের উন্নয়নের গতি কিছুটা হলেও থমকে গেছে।
মাদ্রাসাগুলোতে ব’লাৎ’কার ও ধ”ণের শি’কার শি’শুদের অ’সহায় মা, বাবা, বোন, ভাইয়ের হাহাকারে, মামুনুলের অ’বৈধ (!) স্ত্রীদের করুণ আর্তনাদে তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়েছে “বাংলা বসন্তের” স্বপ্নে বিভোর ধ’র্ষক ও অসৎ আলেম নামধারী ধর্ম ব্যবসায়ীদের তাসের ঘর। যৌ’ন-দাসী হিসেবে ব্যবহার করা অ’সহায় মেয়েদের হাহাকার আর আর্তনাদ কী পরিবর্তন আনতে পারে তা বাংলা তথা সারা দুনিয়ার মানুষ দেখলেন। একেই বলে নারীদের অদৃশ্য শক্তি, প্রকৃতির প্র’তিশোধ। সূত্রঃ বাংলা ইনসাইডার