চাঁদপুর শহরের খান বাড়ি সড়কের একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে রেহান উদ্দিন মিজি (৫৫) নামের এক ড্রেজার ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা তাকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকেলে খান সড়কের তামান্না শারমিন ভিলার তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে সদর মডেল থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
রেহান উদ্দিন মিজি পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার তারাবুনিয়া এলাকার মৃত আবদুর রব মিজির ছেলে। তিনি গত দুই বছর ধরে স্ত্রী পারভীন বেগমসহ ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
আরেক ভাড়াটিয়া মরিয়ম আক্তার বলেন, রেহান উদ্দিনের স্ত্রী পারভীন আমাকে দুপুরে ফোন করে বলেন তাদের বাসা তালাবদ্ধ কিনা। আমি গিয়ে দেখি বাসা বাইরে থেকে আটকানো, তালা নেই। উনাকে জানালাম বাইরে থেকে লাগানো। তিনি বলেন হয়তো ঘুমাচ্ছেন। আবার দুইটার দিকে ফোন করে বলেন দরজা খুলে দেখার জন্য। আমি দরজা খুলে দেখি উনার দেহ চাদর দিয়ে ঢাকা অবস্থায় খাটের উপর পড়ে আছে।
তামান্না শারমিন ভিলায় তত্ত্বাবধানকারী তাফাজ্জল হোসেন তাফু পাটোয়ারী বলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাসায় উঠেন রেহান উদ্দিন মিজি। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে খবর আসে বাসার ভেতরে রেহানের লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেই।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল আসেন চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও সিআইডি। এর মধ্যে পিবিআই কর্মকর্তারা ক্রাইম সিন করে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুরের পুলিশ পরিদর্শক মীর মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার পরই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসি এবং ক্রাইম সিন করি আমরা। মৃত রেহান স্ত্রীসহ এই বাসায় থাকতেন। দুইদিন আগে তার স্ত্রী বেড়াতে গিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে বাসার দরজা বাইরের দিক থেকে আটকে রেখে গেছে। মাথায় ছোট ও বড় আঘাত রয়েছে। আঘাতের গভীরতা কম। ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত আলামত থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। কে বা কারা হত্যা করেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।