বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিদেশগামী কর্মীদের টিকা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের টিকা না থাকায় বিদেশে গিয়ে কোয়ারেন্টাইনের জন্য বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে বিদেশগামী কর্মীদের। এর প্রভাবে প্রতিনিয়তই বিদেশে কর্মী পাঠানো কমে যাচ্ছে। সেকারণে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদেশগামী কর্মীদের টিকার ব্যবস্থা করেছে।
করোনা মিডেল এ্যাড
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ১৯ জুন চীন সরকারের উপহারের ১১ লাখ টিকা দেওয়া শুরু হবে। দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল বা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। টিকা প্রদানের জন্য ১০ ক্যাটাগরির নাগরিকদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। এতে ৩ নম্বরে বিদেশগামী কর্মীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বিদেশগামী কর্মীরা জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন সনদ নিয়ে টিকা নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলছে, বিদেশগামী কর্মীদের সহজে টিকা প্রদানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একারণে অগ্রাধিকার সুবিধা পাচ্ছেন বিদেশগামী কর্মীরা।
এ বিষয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানসচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, সরকারি প্ল্যাটফর্ম ‘সুরক্ষা’ থেকে টিকা নিবন্ধনের সুযোগ পাবেন বিদেশগামী কর্মীরা। কম সময়ে এবং সহজে অভিবাসী কর্মীদের টিকা প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।রিক্রুটিং এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রোয়াব) সভাপতি টিপু সুলতান বলেন, এর আগে প্রথম দফায়ও টিকায় অভিবাসীদের অগ্রাধিকারের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তা হয়নি। তাই শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবায়ন করা জরুরি।