দেশপ্রেমিক ট্রাম্প এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পাস মার্কস্ অর্জন! জাকির মজুমদার‘যেখানে দেখিবে ছাঁই, উড়াইয়া দেখ তাই; পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন’। এটি একটি বহুল প্রচলিত বাংলা প্রবাদ বাক্য। মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরকে এই প্রবাদ বাক্যের ভাবসম্প্রসারণ করতে দেখি। ছাঁই থেকেও যে মণিমুক্তার সন্ধান পাওয়া অমূলক নয়, তেমনি ধ্বংসস্তুপ থেকেও যে জেগে উঠার রসদ সঞ্চয় করা যায়- এই প্রবাদ বাক্যটির মূলভাব আসলে সেটিই। মানে একটি উজ্বীবনী ভাব তৈরি করা, শক্তি সঞ্চয় করা। সর্বোপরি নিজেকে বা নিজেদেরক জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। বেহাল স্বাস্থ্যখাত ও করোনা কেলেংকারির নানা অনুঘটনে টালমাটাল আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্ভবত সে রকমই কোনো শক্তি সঞ্চয়ের চেষ্টা করেছেন! মানুষের অস্থা হারানো স্বাস্থ্যখাতের ছাঁইয়ের স্তুপ থেকে জনাব জাহিদ মালেক কিছু মণিমুক্তার সন্ধান করেছেন! তবে সেটি যে স্বাস্থ্যখাতের ঘুরে দাঁড়ানোর দাওয়া নয়, বরং আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছেন তা তার কথায় স্পষ্ট করেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি ও এক পরিচালকের বিদায়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তার বদলি এবং বিভিন্ন সংস্থার জেরার মাঝে রয়েছে স্বাস্থ্যখাতের কর্তাব্যক্তিরা। এরই মাঝে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর আয়ুষ্কাল নিয়েও বেশ গুঞ্জণ চাউর হলো। আর তখনই মন্ত্রী মহোদয় জানালেন (২২ জুলাই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে), করোনা মোকাবেলায় বিশেষ করে মৃত্যুহারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের চেয়ে তারা সফল! কম মৃত্যৃহারের কারণে বাংলাদেশ পাস মার্কস্ পাবে। তার ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুহার শতকরা ৬ এর উপর আর ইউরোপে ১০ এর কাছাকাছি। সেখানে বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুহার মাত্র এক ভাগের কিছু বেশি। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে ইউরোপ-আমেরিকা থেকেও আমরা পাস মার্কস অর্জন করেছি। এই হলো ছাঁইয়ের স্তুপ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মণিমুক্তা বের করে আনার রহস্য। আত্মতুষ্টি!বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের পাঁচ মাস শেষ হতে চলেছে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগি শনাক্ত হয়। শুরু থেকেই করোনা শনাক্তে পরীক্ষায় অপ্রতুলতা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। সেই সীমাবদ্ধতা এখনো অতিক্রম করতে পারেনি দেশের স্বাস্থ্যখাত। আশ্চর্য্যের বিষয় হলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই অভিভাবক ২৪ ঘণ্টা বা একদিনে এখনো ২০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষার সক্ষমতা দেখাতে পারলেন না। অথচ করোনায় মানুষের মৃত্যুহার কম বলে তিনি নিজেকে পাস মার্ক দিয়ে আত্মতুষ্টি করেছেন। চিকিৎসা সেবা তো দূরে থাক, অসংখ্য মানুষ করোনা উপসর্গ নিয়ে মরেছেন বা মরছেন তারা জানতেই পারছে না কি রোগে তাদের মৃত্যু হচ্ছে। ২০১৯ সালে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনা সংক্রমণের উৎপত্তি। তারপর চীন হয়ে ইতালি, ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ হয়ে বাংলাদেশে এই ভাইরাসটির মাইগ্রেশন হয়। ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগি শনাক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমরা প্রায় আড়াই মাস সময় পেয়েছি। কিন্তু ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে বা বিস্তৃতিরোধে আমাদের রাষ্ট্র এবং স্বাস্থ্য বিভাগের দৃশ্যমান কোনো পলিসি বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে দেখা যায়নি। পরবর্তীতে করোনা মোকাবেলায় রাষ্ট্রের সমন্বয়হীনতা, করণীয় নির্ধারণে অক্ষমতা ও ব্যর্থতা কম আলোচিত হয়নি। যা এখনো চলমান। এসব আলোচনায় স্বাস্থ্যখাতের চরম সংকট, করোনা চিকিৎসার অসক্ষমতা, নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের চিত্রই ফুটে উঠেছে। সেই চিত্রের বাস্তব উদাহরণ রিজেন্ট, জেকেজি ও সাহাবুদ্দিন মেডিকেল হাসপাতালসহ সাহেদ, সাবরিনা, আরিফুলরা। এছাড়াও স্বাস্থ্যখাতে লুটপাট ও অনিয়মে অপরাজিতা, তমা, জেএমআইসহ ঠিকাদার মিঠুদের নামও বেরিয়ে আসলো। হয়তো আরও কত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ তালিকায় আছে। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী যদি করোনায় মানুষের মৃত্যুহার কম বলে নিজেকে পাস মার্ক দিতে পারেন; এর কৃতিত্ব দাবি করেন। তাহলে স্বাস্থ্যখাতের সকল তুঘলকিকাণ্ডের দায়ও নিশ্চয় তিনি এড়াতে পারেন না। এই প্রেক্ষাপটে মন্ত্রী মহোদয়কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি ও পরিচালকের (হাসপাতাল) পদাঙ্ক অনুসরণে অনেকের আহ্বানকে অমূলক বলি কীভাবে।করোনায় স্বাস্থ্যখাতের নজীরবিহীন কেলেংকারি বের হয়ে আসার ফলে কভিড-১৯ উপসর্গে আক্রান্ত হওয়া বেশির ভাগ মানুষ এখন হাসপতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্র বিমূখ হচ্ছেন। করোনার ভুয়া রিপোর্টের বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় সংবাদমাধ্যম ও বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় উঠে আসছে- মানুষ করোনার পরীক্ষা নিয়ে আস্থার সংকটে রয়েছে। ফলে করোনা উপসর্গে আক্রান্তদের বেশির ভাগ পরীক্ষায় উৎসাহ হারিয়ে ঘরোয়া টোটকা চিকিৎসার উপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অবস্থার বিপদও আছে। একদিকে মানুষের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে অপরদিকে করোনা চিহ্নিত না হওয়া এবং সঙ্গনিরোধ মেনে না চলায় সংক্রমণের বিস্তৃতিও ঘটছে। ঘরোয়া চিকিৎসা বা টোটকায় মানুষের মধ্যে নানা শারীরিক সংকটও তৈরির আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যেটি দীর্ঘ মেয়াদি স্বাস্থ্যগত, আর্থিক, সামাজিক ও মানসিক সমস্যা মোকাবেলায় রাষ্ট্রকে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি করবে। যা সত্যিই উদ্বেগের বিষয়।স্বাস্থ্যখাত আজ যে সমস্যা জর্জরিত, এজন্য কিছু লোকের পদত্যাগ ও বদলিকে আমরা সমাধান মনে করি না। মন্ত্রণালয়ের প্রধান ব্যক্তিসহ দোষীদের জবাবদিহিতা এবং আইনের আওতায় আনাও জরুরি হয়ে পড়েছে।মার্কিন মুল্লুকের প্রেসিডেন্ট মি. ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি টুইট করেছেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন- তার চেয়ে দেশপ্রেমিক কেউ নেই। স্থানীয় সময় সোমবার (২০ জুলাই) ট্রাম্প তার টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘অদৃশ্য চীনা ভাইরাসকে হারাতে আমাদের প্রচেষ্টায় আমরা ঐক্যবদ্ধ। অনেকেই বলেছেন, যখন আপনি সামাজিক দূরত্ব মানতে পারেন না, তখন মাস্ক পরাটা স্বদেশপ্রেম’। তাই ওই টুইটে মাস্ক পরা একটি ছবি পোস্ট করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমার চেয়ে দেশপ্রেমিক কেউ নেই, আমি আপনাদের প্রিয় ‘আমার চেয়ে দেশপ্রেমিক আর কেউ নেই’, ট্রাম্পের মতো এমনটি দাবি করা নিয়ে যুগে যুগে বৈশ্বিক ঐতিহাসিক অনেক পটভূমি রয়েছে। সাধারণ কোনো রাষ্ট্রনায়ক তার দেশের মানুষের কাছে নিজেই নিজেকে দেশপ্রেমিক দাবি করার নজির না থাকলেও দেশে দেশে কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রধান, স্বৈরাচার ও একনায়করা নিজেকে দেশপ্রেমিক হিসেবে তার জনগণের কাছে তুলে ধরার ইতিহাস ভুরি ভুরি আছে। জার্মানির হিটলার, ইটালির মুসোলিনি অন্যতম। সাম্প্রতিক বিশ্বে মিশরের আবদুল ফাত্তাহ সিসি, সিরিয়ার আবুল আসাদ এবং নিকট অতিতের ইরাকের সাদ্দাম হোসেন, লিবিয়ার গাদ্দাফি ও মিশরের হোসনি মোবারক অন্যতম উদাহরণ। যারা নিজেদের দেশপ্রেমিক ও জনগণের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় বলেই জাহির করতো বা প্রমাণ করার চেষ্টা করে। যখনই কোনো শাসক কর্তৃত্ববাদী, এক নায়ক, ওয়ান ম্যান স্টেটের ধারক তথা স্বৈরাচারী হয়ে উঠে তখন নিজেকে সবচেয়ে দেশপ্রেমিক বলে দাবি করতে শুরু করে। শুধুই তাই নয়, রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে সংশ্লিষ্ট শাসক জনগণের কাছে তার নিজের জনপ্রিয়তাও প্রকাশ করে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, বরং এমন ধরনের শাসক ও তার সরকার ক্রমেই জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার রূপপরিগ্রহ করে নড়বড়ে অবস্থানে অবতীর্ণ হয়। ২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের বিজয়ী হওয়ার আগেই নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে তাকে নিয়ে যে বিতর্ক ও আশংকা তৈরি হয়েছিল তা এখনো অব্যাহত। অনেক বিশ্লেষকের মতে, মার্কিনীরা গেল কয়েক দশকের মধ্যে এমন একজন প্রেসিডেন্ট পেলেন, যিনি কিনা অনেকটাই কর্তৃত্ববাদী। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চেতনা, সভ্যতা ও সমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। তার বর্ণবাদী উস্কানি দেশটির রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কাঠামোকে নিদারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। এর জ্বলন্ত উদাহরণ দেশটির পুলিশ বাহিনীর হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডসহ বেশ কয়েকজনের হত্যার শিকার হওয়া এবং এই ইস্যুতে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া। কেউ কেউ বলছেন, দ্বিতীয় দফা নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্ণবাদকে ব্যবহার করছেন। গত ৪ বছরই ট্রাম্পের আগ্রাসী ও ভুল নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র যেমন ভাবমূর্তির সংকটে পড়েছে ঠিক তেমনি বিশ্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর খেসারতও দিয়েছে দেশটি ও বিশ্ব। এর অন্যতম উদাহরণ করোনা ভাইরাসকে চীনা ভাইরাস বলে তাচ্ছিল্য করার জের এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়ার হুমকি। তাকে অনুসরণ করতে গিয়ে মধ্য আমেরিকার দেশ ব্রাজিল যুক্তরাষ্ট্রের পরই এই মুহূর্তে করোনায় দ্বিতীয় বৃহত্তম মৃত্যু ও আক্রান্তের দেশের তালিকায় নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। ফলে ব্রাজিলের বিক্ষুব্ধ মানুষ প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভও করেছে। তার নিজেরও তিন তিনবার করোনা পজিটিভ এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প তার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চীনকে টার্গেট করেছে। নিজ ব্যর্থতা ও তাচ্ছিল্য ডাকতে এবং ভোটারদের মন জয় করতে করোনা ইস্যুসহ বাণিজ্যিক যুদ্ধের আবহে একধরনের স্নায়ুযুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করেছে। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে দোষারোপ করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, চীন করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ এবং তথ্য গোপন করে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসটি বিস্তারের জন্য দায়ী। সর্বশেষ উদাহরণ, ট্রাম্প সরকারের যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনে চীনা কনস্যুলেট হঠাৎ বন্ধের নির্দেশনা। যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপকে বেপরোয়া ও বিপজ্জনক হিসেবে উল্লেখ করে চীন বলছে, এটি একতরফা রাজনৈতিকি উস্কানি, আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নীতির গুরুতর লঙ্ঘন। শুধু তাই নয়, এই লেখাটি যখন শেষ করে এনেছি তখন বিবিসির বরাতে শুক্রবার সাম্প্রতিক দেশকাল তাদের অনলাইন সংস্করণে লিখেছেন, চীনের দক্ষিণ-পশিমাঞ্চলের শহর চেংদুতে অবস্থিত মার্কিন কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বেইজিং।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কভিড-১৯ এর টিকা নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃদ্ধির দায়ে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই চীনা কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশনা দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, আমেরিকার মেধাস্বত্ব গোপনীয় তথ্য রক্ষার স্বার্থে চীনা কনস্যুলেট বন্ধের নিদেশনা দেয়া হয়েছে। চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা জবাব দিলো। অবশ্য এ নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ দুটি বাণিজ্য শক্তির দেশের মধ্যে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের অবতারণা হলো। এছাড়া কভিড-১৯ এর টিকা বা ভ্যাকসিন বাজারে আনা নিয়েও দুই অর্থনৈতিক শক্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতার জেরে চীনা কনস্যুলেট বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত অমূলক নয়।আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বরাত দিয়ে দেশ রূপান্তর (২৩ জুলাই ২০২০) লিখেছে, চীন অনেকদিন ধরেই বিশ্ব নেতৃত্বের শূণ্যস্থান পূরণ করতে চাইছে। বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত (চীনের কনস্যুলেট বন্ধের নির্দেশনা) চীনকে সেই শূণ্যস্থান পূরণে সাহায্য করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে চীনকে শত্রুর শত্রুদের সঙ্গে মিত্রতা করতে হবে। অবশ্য ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড পলিসির আওতায় চীন গত তিন বছর ধরেই ওই পথে এগুচ্ছে।এখন দেখার বিষয় চীনের প্রভাব মোকাবেলায় সত্যিই মার্কিন জনগণ কতটুকু ট্রাম্পের উপর ভরসা রাখে। এছাড়া তার দাবি অনুযায়ী তিনি যে মার্কিনীদের প্রিয় প্রেসিডেন্ট ও দেশপ্রেমিক, তাও পরখ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বকে অপেক্ষা করতে হবে দেশটির আগামী নির্বাচন পর্যন্ত।লেখক: জাকির মজুমদারসাংবাদিক, কলামিস্ট ও সমাজকর্মী। শেয়ার করুন Admin Posted on July 25, 2020July 25, 2020 by admin