জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবন ভ্রমণ করেছেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সদস্যরা। প্রেসক্লাবের ৪০জন সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ১২২জন এতে অংশগ্রহণ করেন। এই আনন্দভ্রমণকে প্রেসক্লাবের ইতিহাসে সর্বাধিক সফল ও ঐতিহাসিক আয়োজন হিসেবে অভিহিত করেছেন অংশগ্রহণকারীরা।
৫ দিনব্যাপী সুন্দরবন সফর গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চাঁদপুর হাসান আলী মাঠ থেকে শুরু হয়। খুলনা হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রভাতে সুন্দরবন পৌঁছেন আনন্দ ভ্রমণে অংশগ্রহণকারীরা। ওইদিন হারবাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র, হিরন পয়েন্ট, দুবলাচর পরিদর্শন করেন তারা। পরদিন ৯ ফেব্রæয়ারি কটকা অভয়ারন্য কেন্দ্র, জামতলা বিচ, কটকা ক্যানেল ও স্মরণখোলা রেঞ্জের নীলকমল অভয়ারন্য কেন্দ্রের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন অংশগ্রহণকারীরা।
১০ ফেব্রুয়ারি আন্দারমানিক ক্যানেল, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র, করমজল হরিন ও কুমির প্রজনন, লালন-পালন ও ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র হয়ে মংলায় অবস্থিত ওয়াই সি রিসোর্ট এন্ড পিকনিক কর্ণারে এসে সুন্দরবন ভ্রমণের সমাপ্তি ঘটে। ১১ ফেব্রæয়ারি সকালে খুলনা থেকে রওয়ানা হয়ে রাতে চাঁদপুর এসে পৌঁছেন সফরকারীরা।
প্রেসক্লাবের সুন্দরবন ভ্রমণ উদযাপন উপ-পরিষদের সদস্য সচিব এএইচএম আহসান উল্লাহ বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ৫১ বছরের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী, ব্যয়বহুল ও আনন্দদায়ক ভ্রমণ ছিল। প্রেসক্লাবের সদস্য ও শুভাকাঙ্খীদের সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষভাবে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া কার্যকরী কমিটির সভাপতি, সম্পাদকসহ সকল নেতৃবৃন্দ ও ভ্রমণ উপ-পরিষদের আহবায়ক ও সদস্যবৃন্দ কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সুন্দরবন ভ্রমণ আমাদের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল। এবার সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের সন্তুষ্টি ও আনন্দ দেখে আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত আমরাও খুব আনন্দিত। সুন্দরবন ভ্রমণ সফল করার ক্ষেত্রে চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক ও বর্তমানে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো.ইসমাইল হোসেনের আন্তরিক সহযোগিতা কখনো ভুলার নয়।
প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী বলেন, সুন্দরবন ভ্রমণ চাঁদপুর প্রেসক্লাবের এ যাবৎ কালের সর্বাধিক স্মরণীয় আনন্দ ভ্রমণে পরিণত হয়েছে। এই ভ্রমণের অপারেটর হিসেবে সুন্দরবন হলিডেইজ ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলসের সেবায় অংশগ্রহণকারী সবাই সন্তুষ্ট ও তৃপ্ত। আমি এই ঐতিহাসিক ভ্রমণে অংশগ্রহণকারী সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।