চাঁদপুরে স্বামীর সাথে অভিমান করে হিরা আক্তার (২৪) নামের স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ২৯ মার্চ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে চাঁদপুর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর আশিকাটি গ্রামের মাল বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হিরা আক্তার ওই বাড়ির সাইফুল ইসলাম কাউসার মালের স্ত্রী ও আশিকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত তাফাজ্জল হোসেন মালের কন্যা।
নিহত হিরা আক্তারের মামা বিল্লাল মাল ও পরিবারের অন্যান্যরা জানান,প্রায় সাত-আট বছর পূর্বে একই এলাকার ছাত্তার মালের ছেলে সাইফুল ইসলাম কাউসার মালের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস তারা মোটামুটি ভালো ভাবে চললেও কয়েক মাস পর থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে অশান্তির সৃষ্টি হতে থাকে।
ঘটনার আগের দিন রাতে তাদের দুজনের মাঝে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে পরদিন বেলা বারোটার দিকে কিরে হিরার ভাই সাব্বিরকে তার খোঁজখবর নিতে পাঠানো হয়। সাব্বির ওই বাড়িতে গিয়ে দেখেন হিরা তার রুমের দরজা বন্ধ আঁড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিচ্ছেন। তখন সে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তাকে বাঁচানোর চেষ্টায় চিকিৎসার জন্য চাঁদপুরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র ও স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, ঘটনার আগের দিন রাতে কাউসার মাল ঘরে ফিরলে পরকীয়ার বিষয় নিয়ে তাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে বাকবিতন্ডা ও মনোমালিন্য হয়। পরদিন সকাল বেলা হীরা আক্তার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
তারা জানান,স্বামী কাউসার মালের পরকীয়ার কারণে তাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে অনেক অশান্তি সৃষ্টি হতো। হীরার আপন বড় বোনের সাথে তার স্বামীর প্রেমের সম্পর্ক কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি নিহত হীরা। এ নিয়ে তাদের পারিবারিক ভাবে প্রায় সময় অনেক বাকবিতণ্ডা এবং ঝগড়াঝাটি হওয়ার পর বেশ কয়েকবার মীমাংসাও হয়েছে বলে জানা গেছে।
সেই পরকীয়ার সূত্র ধরেই হিরা তার স্বামীর সাথে অভিমান করে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে এমন আত্মহত্যার ঘটনার খবর পেয়ে ওই এলাকায় শত শত মানুষ ভিড় জমান এবং চাঁদপুর মডেল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, এমন ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ ফোর্স গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে এনেছেন। এখন ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
তিনি জানান,পরিবারের কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় এই বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।