হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার বুধবার (৫ মে) রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। সময় সংবাদের এই প্রতিবেদকের কাছে মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেগম জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম। রাতে ধানমন্ডির বাসায় স্বরষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন পত্রটি শামীম ইস্কান্দার দিয়ে এসেছেন বলেও জানান তিনি।
এসময় বোন সেলিমা ইসলাম জানান, চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর সিদ্ধান্ত তারা জানতে পারবেন।
এদিকে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পত্রে নির্দিষ্ট কোন দেশের কথা উল্লেখ না করা হলেও বেগম জিয়ার চিকিৎসা লন্ডনে করানোর ইচ্ছা তাদের। যেহেতু এর আগেও সেখানে তার চিকিৎসা করা হয়েছে। যেখানে তার বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে থেকেই খালেদা জিয়া চিকিৎসা করাতে পারবেন বলেও জানান সেলিমা ইসলাম।
অন্যদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিদেশে নিতে সব ধরণের প্রস্তুতি তাদের আছে বলেও সময় সংবাদকে জানান তিনি। তবে তার সরকারের গ্রিন সিগনালের অপেক্ষায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেন খালেদার বোন।
এদিকে খালেদা জিয়ার শারীরিক বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখনও তার (খালেদা জিয়া) শ্বাসকষ্ট আছে। ফুসফুসে পানি ছিল তা বের করা হয়েছে। তবে আরও আছে যেটা বের করতে হবে।
অন্যদিকে সূত্র বলছে, সরকারের অনুমতি পেলে বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়া হতে পারে। এদিকে ২০১৭ সালে লন্ডনে অবস্থানরত বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় থেকেই তিনি চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
গত ১০ই এপ্রিল বেগম জিয়া করোনায় আক্রান্ত হলেও, কোবিড-১৯ এর কোন উপসর্গ ছিলো না বলে জানিয়েছিল তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। এরপর ১৫ই এপ্রিল তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলেও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা শেষে বেগম জিয়াকে আবারও তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় নেয়া হয়।
এ রিপোর্টে তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। প্রথমবার পজিটিভ হওয়ার ১৪দিনের মাথায় ২৪শে এপ্রিল আবারও করোনা টেস্ট করানো হলে কোভিড পজিটিভই থাকে বেগম জিয়ার। এর তিনদিন পর অর্থাৎ ২৭শে এপ্রিল আবারও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নেয়া হয় একই হাসপাতাল এভারকেয়ারে।
চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে সেখানেই নন-কোভিড ইউনিটে ভর্তি করা হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। এরপর গত ৩ মে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে করোনারী কেয়ার ইউনিট-সিসিইউতে নেয়া হয় বেগম জিয়াকে। সেদিন থেকেই তিনি ৪র্থ দিনের মত সিসিইউতেই আছেন বিএনপির এই নেত্রী।