চিকিৎসার জন্য সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাতেই সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। জাতীয় পার্টির একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতা দৈনিক জাগরণকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা জানান, রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে এস কিউ ৪৪৭ বিমানে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সঙ্গে যাচ্ছেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু এবং এরশাদের এপিএস মো. মনজুরুল ইসলাম।
গত ৬ ডিসেম্বর দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা সাংবাদিকের জানিয়েছিলেন, ১০ ডিসেম্বরের পর সিঙ্গাপুর যাবেন এরশাদ। তারপরও এরশাদের এই সিঙ্গাপুর যাওয়াকে কেন্দ্র করে নানারকম প্রহসন ও লুকোচুরির আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। আবার দলের গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা এরশাদের এই সিঙ্গাপুর যাত্রার খবরটি জানেন না।
দুপুরে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক জাগরণকে জানান, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানানে না। তিনি তার নির্বাচনি এলাকায় প্রচার প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত আছেন। উল্টো তিনি জাগরণ প্রতিবেদককে জানান, এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর পেলে জানালে তিনি খুশি হবেন।
অন্যদিকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনিও একই ধরনের মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
এ দিকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সম্প্রতি বেশ সুকৌশলে মিডিয়া এড়িয়ে চলছেন। তবে গত ৬ ডিসেম্বর হঠাৎ সিএমএইচ থেকে সরাসরি পার্টি অফিসে আসেন। এ সময় তিনি জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের দল না ছাড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এখন কঠিন সময় পার করছে, আমরা ভেঙে পরি নাই। আগামীতে হয়তো আরো কঠিন সময় পার করতে হবে। সেজন্য জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কেউ দল ছেড়ে যেওনা, কেউ নিরুৎসাহিত হবে না। সবাই এমপি হতে পারে না, সবাইকে দলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ, সুদিন আমাদের আসবেই। ভালো থেকো সবাই।
এরশাদ আরো বলেন, আমি বেঁচে আছি, ভালো আছি। তোমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে দলকে শক্তিশালী করো। আমরা নির্বাচনে যাবো, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অনেক ভালো করবে। আমি বেঁচে আছি, দলকে বিজয়ের পথে নিয়ে যাবো আমরা।