*মোহাম্মদ কামাল হোসেন *
আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের তৃনমুলের নেতাকর্মীদের কান্ডারী,বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনের সংগ্রামী নেতা,সেনাশাসিত তত্বাবাধায়ক সরকারেরর আমলে আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আটকের প্রতিবাদে রাস্তা বেরিকেড দেওয়াসহ নেত্রী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক,হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের দুইবারে নির্বাচিত (তৃনমুলে কর্মীদের ভোটে) সভাপতি ও হাজীগঞ্জ পৌরসভার সফল মেয়র আসম মাহবুব উল আলম লিপন এর মেয়র দায়িত্ব গ্রহনের চার’বছর(তিনি প্রথমবারই দলীয় প্রতীকে নৌকা মার্কায় মনোনয়ন পেয়েই পৌরবাসীর ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, পৌরসভার ইতিহাসে তিনি প্রথমবার নির্বাচনে প্রথমবারই মেয়র নির্বাচিত হন) অত্যান্ত সুনামের সাথে পার করছেন। গত চার বছর পৌরবাসীর কাছে একজন গ্রহণ যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে সুনাম অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তার আন্তরিকতায় এবং অক্লান্ত পরিশ্রমে ইতি মধ্যে পৌরসভার উন্নয়ন এগিয়ে চলছে। এ ছাড়াও হাজীগঞ্জ পৌর এলাকায় যাতায়াত রাস্তা নিয়ে যে জটিলতা ছিল তা নিজ উদ্যেগে সমাধান করে দিয়েছেন। এ চার’বছরের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সহযোগিতা চান। চার’বছরের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নিয়ে আমার কণ্ঠের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তুলেধরা হলো সফলতার পূরোচিত্র।
আমার কণ্ঠ ঃ আপনি কেমন আছেন ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ আলহামদুলিল্লাহ্, সম্মানিত পৌরবাসী আপনাদের সবার দোয়ায় ভাল আছি।
আমার কণ্ঠ ঃ দায়িত্ব নিয়েছেন ৪ বছর। কতটা সফল বা ব্যর্থ মনে করছেন ? কোন কাজে আপনি তৃপ্ত। কোথায় কোথায় বাধার মুখে পড়েছেন বলে মনে করেন ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ সফলতা ও ব্যর্থতার বিচারক জনগন। কাজ করার ইচ্ছা থাকলে কোন বাধাই রুখতে পারে না। সম্মানিত পৌরবাসী আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা আছে বলে আমি আমার শতভাগ উজাড় করে দিতে পারছি।
আমার কণ্ঠ ঃ ভোটের আগের প্রতিশ্রুতির কতটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন। না পারলে কেন পারেননি। এই ব্যর্থতার জন্য
কাকে দায়ী করবেন ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ জনগনের নিকট প্রতিশ্রুতি ছিল তাদের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিব। আশা করি সেই লক্ষই বাস্তবায়ন করছি। আমার দরজা সকলের জন্য খোলা ছিল সবসময়।
আমার কণ্ঠ ঃ খাল-নালার অবৈধ দখল উচ্ছেদে বাধা কোথায় ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ এটি একটি সমন্বিত পক্রিয়া। খালগুলোর মালিকানা জেলা পরিষদ ও সিএন্ডবি। উচ্ছেদ অভিযানে তারা আমাদের সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই করবো। তবে স্বাভাবিক পানি প্রবাহের পথে বাধা/প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের বিপক্ষে আমার অবস্থান জোড়ালো।
আমার কণ্ঠ ঃ সরকারি বরাদ্দ কতটুকু ? পৌর উন্নয়নে আর্থিক সক্ষমতা কতটুকু। পৌরবাসীর ওপর নতুন কর বসানোর কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ সরকার বর্তমানে-পদ্মা সেতু, মেট্ট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে, তাই বরাদ্ধ তুলনামূলক হারে কম আসছে। তবুও নিজস্ব আয় ও সরকারী বরাদ্ধ যা পেয়েছি সুষম বন্টনের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। নতুন করে কর বসানোর চিন্তা ভাবনা নেই। তারপরও যেহেতু পৌরসভা সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তাই করের বিষয়ে সরকারি কোন আদেশ/পরিপত্র জারি হলে তা বাস্তবায়ন করাই আমাদের কাজ।
আমার কণ্ঠ ঃ স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে না হওয়া ভালো, না পুরোন পদ্ধতিই ভালো ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ আপনার অভিমত কি………..? তবে আমি একজন দলিয় কর্মী হিসেবে মনে করি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় ভাবে হওয়াটাই শ্রেয়। অধিকাংশ ভোটারগন রাজনৈতিক দলের পছন্দেই বিচার করে থাকে, তারা দলিয় প্রার্থীকেই ভোট দেয়। তবে জনপ্রতিনিধীগনের পদগুলি দলমত নির্বিশেষে সকলের। এসব পদে থেকে সকলকেই সমান বিবেচনায় রাখতে হয়।
আমার কণ্ঠ ঃ সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ছিনতাই মাদক ব্যবসা, যৌন হয়রানি বন্ধে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন। আপনার এলাকা কতটা
অপরাধমুক্ত করতে পেরেছেন ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও ইভটেজিং নিয়ন্ত্রনে মূখ্য ভূমিকা পালন করবে পুলিশ বাহিনী। তবেপৌরসভার সকল ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কমিটির মাধ্যমে কাউন্সিলগনের সহযোগিতায় প্রচার প্রচারনা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়। এসব সামাজিক সমস্যা রোধকল্পে সকলের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। আর মাদকের প্রসার রোধকল্পে যুব সমাজকে উদ্ধুদ্ব করতে বিভিন্ন খেলাধূলা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানসহ বিনোদনের আয়োজন করেছি। এখন মানুষ আগের থেকে সচেতন হয়েছে তাই এই সমস্যাগুলো অতীতের তুলনায় কমে এসেছে।
আমার কণ্ঠ ঃ নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এবারও প্রার্থী হলে কী প্রতিশ্রুতি নিয়ে যাবেন।
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ আমি প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী না। সাধ্যমতে জনগনের জন্য কাজ করে যাবো।
আমার কণ্ঠ ঃ পৌর এলাকায় ড্রেনেজের সমস্যার কারণে অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। কিন্তু আপনি মেয়র হওয়ার পর এখন আর জলাবদ্ধতা চোখে পড়ে না ? রহস্য কি ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ রহস্য টহস্য কিছুই নাই, ইতিবাচক ইচ্ছা আর আন্তরিকতা থাকলে সবই সম্ভব। পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনকে প্রথম ১০০ দিনের কর্মসূচীর চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে আমি জলাবদ্ধতা নিরসনে চেষ্টা করেছি। কতটুকু সফল হয়েছি সেটার বিচার আপনাদের হাতে।
আমার কণ্ঠ ঃ পৌর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না রেখে ও নামমাত্র অনুমোতি নিয়ে যত্রতত্র ব্যক্তি মালিকানা বহু ভবন নির্মাণ। এ ব্যাপারে আপনি কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন কি ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ আমার দায়িত্ব গ্রহনের পূর্বে বহু ভবন নির্মাণ হয়েছিল, সেগুলো বিল্ডিং কোড মানেনি, এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে অভিযান পরিচালিত করার সিদ্ধান্ত নেই। এছাড়াও আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর যথাযথ বিল্ডিং কোড অনুসরনের সিদ্ধান্ত দেই। প্রতিটি ভবনের প্লান পাশ করার পূর্বেই স্থানে কাউন্সিলরসহ প্রকৌশলীগন তদন্ত/পরিদর্শন করে রিপোর্ট প্রদানের পরেই অনুমতি প্রদান করি।
আমার কণ্ঠ ঃ হাজীগঞ্জ পরিবহন থেকে বছরে অনেক টাকা আদায় হচ্ছে কিন্তু আধুনিক বাসষ্ট্যান্ড, যাত্রীদের জন্য টয়লেট ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা হয়নি কেন ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ পরিবহন থেকে পৌরসভা কোন টাকা আদায় করছে না। টার্মিনাল ব্যবহারের জন্য ইজারার মাধ্যমে ফি আদায় করা হয়। এছাড়াও হাজীগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্মিত দুইটি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে, তাই বাস্ট্যান্ড নতুন করে নির্মাণের প্রয়োজন নেই। তবে স্থান সংকুলান ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কথা বিবেচনা করে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে আধুনিক মানের বেশ কয়েকটি শৌচাগার নির্মাণ করেছি।
আমার কণ্ঠ ঃ বিভিন্ন বাড়ীর রাস্তা তৈরিতে বাধার কারণে হয়নি। আপনি করলেন কিভাবে ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ নিজে ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে রাস্তার প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়েছি। আসলে সদিচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব। পৌরসভার ০৭নং ওয়ার্ড চর বাড়ির রাস্তা, ইস্পাহানী পুকুরের পূর্ব পাড়ের রাস্তা ও নতুন মৃধা বাড়ীর রাস্তা, ২নং ওয়ার্ড দাই বাড়ীর রাস্তা এবং প্রতাপপুর ফেরী ঘাটসহ রাস্তাগুলি এলাকার জনগনের স্বপ্ন ছিলো আল্লাহর রহমতে আমি তা বাস্তবায়ন করেছি। এরকম অনেকগুলো প্রকল্প স্থানীয় সুবিধাভোগী জনগনের সাথে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।
আমার কণ্ঠ ঃ বেবী, রিক্সা ও যাত্রীদের জন্য ষ্ট্যান্ডের ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও পুরো বাজার যেন ষ্ট্যান্ড কেন ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ এ ক্ষেত্রে জনগনের সচেতনতাই মূর্খ্য। আমরা যাত্রীরা সি.এন.জি অটোতে করে বাজারে যত্রতত্র থামাতে বলি, নির্ধারিত স্থানে না গিয়ে যেখানে সেখানেই গাড়িতে উঠা বা নামার চেষ্টা করি, যানজটের এটিও একটি মূল কারন। এক্ষেত্রে চালক ও যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদারকি থাকতে হবে। বর্তমানে ফুটপাতের হকার উচ্ছেদ হওয়ায় বাজার এখন অনেকটা শৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে জনগনকে সচেতন করতে হবে।
আমার কণ্ঠ ঃ পৌর কাউন্সিলররা ৪ বছর উন্নয়ন কাজে তাদের ন্যায্য হিস্যা পেয়েছে কি ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে জন সংখ্যার ভিত্তিতে সুষম বন্টন করেছি এবং পিছিয়ে পড়া ওয়ার্ডকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাধান্য দিয়েছি। সেই সাথে পরিষদের বোর্ড সভা করে সকলের সম্মতিক্রমে সকল উন্নয়ন বাস্তবায়ন করেছি। আমার প্রিয় কাউন্সিলরবৃন্দের কর্মময় জীবনের একটি অংশ। ওনাদের সুচিন্তিত মতামত যেমন আমি গ্রহন করি, তেমনি ওনারা ও আমার কথাকে গুরুত্ব দেন।
আমার কণ্ঠ ঃ হকাররা রাস্তা দখলের কারণে পুরো বাজার জানজট নিত্যদিনের ? জানজট নিরসনে পৌরসভার পক্ষ থেকে বার বার পদক্ষেপ দেওয়া হলেও তা দীর্ঘ দিন থাকে না কেন ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ বর্তমানে হকারদের দখলমুক্ত হাজীগঞ্জ বাজার। দীর্ঘ দিন এই অবস্থা ধরে রাখতে হলে সমন্বিত ক্রেতাগণের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
আমার কণ্ঠ ঃ পৌরবাসীকে আর্সেনিক মুক্ত পানি সরবরাহ করার জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ আমার আমলে পৌরবাসীকে আর্সেনিকমুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহের জন্য ইতোমধ্যেই প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করেছি। যা শ্রীঘ্রই উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এটি পৌরবাসীর জন্য বড় ধরনের অর্জন। রান্ধুনীমুড়া ২ কোটি টাকার পানির লাইন নির্মাণ চলমান।
আমার কণ্ঠ ঃ আপনাকে পৌরবাসী মনে রাখার মত উল্লেখযোগ্য কি কি কাজ করেছেন ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ মনে রাখার মত কি করেছি তা বিচারের ভার সম্মানিত পৌরবাসীর উপর, তবে আমি আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। হাজীগঞ্জে সর্ব প্রথম বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, দীর্ঘ দিনের কাঙ্খিত বিশ্বরোডের গোল চত্ত¦রে ভাস্কর্য নির্মাণ, স্বাধীনতার পর এই প্রথম ৭নং ওয়ার্ড বদরপুর চর বাড়ীর রাস্তা নির্মাণ, মাদক বিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্ট, ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, শিশু কিশোরদের সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্য চালু করেছি পৌর শিশু বিনোদন অঙ্গন নাম পার্ক। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজাতে কঞ্জারভেন্সী কাজকে কোম্পানীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছি, সূর্যদোয়ের পূর্বেই বাজারসহ সমগ্র পৌর এলাকা পরিচ্ছন্ন দেখতে পান নিশ্চই। পৌরসভায় আগত সেবা গ্রহিতাদের সেবা প্রাপ্তি সহজীকরন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করেছি।
আমার কণ্ঠ ঃ আপনি আওয়ামীলীগের দলীয় টিকে পেয়ে মেয়র নিবার্চিত হয়ে নেতাকর্মীদের জন্য উল্লেখ যোগ্য কি কি ভূমিকা নিয়েছেন ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ আমি পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর নেতা কর্মীদের সাথে অতীতের ন্যয় সর্ম্পক রেখেছি। ব্যস্ততার কারনে অনেকের সাথে যোগাযোগ করতে দেরি হলে; তারাই আমার কাছে ছুটে এসেছে। আমার দরজা নেতা কর্মী ও জনগনের জন্য চব্বিশ ঘন্টা উম্মুক্ত এবং পৌর মেয়রের রুমে ঢুকার জন্য কোন প্রকার অনুমতির ব্যবস্থা রাখিনি। যে কেউ বিনা অনুমতিতে আমার সাথে দেখা করতে পারেন। সকলের সমস্যা শুনে তাৎক্ষনিক সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আমার কণ্ঠ ঃ আগামী নিবার্চনে আপনি পুনরায় মেয়র পদে নির্বাচন করবেন ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ প্রথমেই আমি মানমীয় এমপি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মহোদয়সহ সমগ্র পৌরবাসী ও আমার দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। দেখেন, আমরা কাজ করি জনগনের জন্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে কাজ করছি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য। কাজ করে যাচ্ছি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য। নেত্রী যদি আমাকে যোগ্য মনে করে দায়িত্ব দেন অবশ্যই নির্বাচন করব। আমার বিশ্বাস আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা আমার প্রতি থাকবে।
আমার কণ্ঠ ঃ পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে কিছু বলুন ?
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ আমার প্রিয় পৌরসবাসী আপনাদের প্রতি আমার পূর্ন আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। আপনারা আমার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন। আপনাদের আমানত আমি খেয়ানত করিনি, বিশ্বাসের অমর্যদা করিনি এবং করবও না ইনশাআল্লাহ। আপনারা ভালো থাকুন-আপনারা ভালো থাকলে আমি ভালো থাকবো-ইনশাআল্লাহ।
আমার কণ্ঠ ঃ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
আঃ সঃ মঃ মাহবুব-উল আলম ঃ পৌর পরিষদ ও পৌরবাসীর পক্ষ থেকে আপনসাকেও ধন্যবাদ
মরহুম জাহানারা বেগমের এবং আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন আহমেদ বি.এস-সি’র ৫ম ছেলে মাহবুব-উল-আলম লিপন (৬ ভাই ৫ বোন)। মরহুম রফিক উদ্দিন আহমেদ তৎকালিন পাকিস্তান সরকারের শুল্ক. কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে সরকারি চাকুরী ছেড়ে প্রথমে উয়ারুক রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছুদিন শিক্ষাগতা করেন। বলাখাল জে.এন উচ্চ বিদ্যালয়ের বি.এস-সি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।পরবর্তীতে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শেষ করেন।
১ম ভাই সমুদ্র যাত্রা শিপিং লাইস্ পরিচালক। ২য় ও ৩য় ভাই ঢাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, ৪র্থ ভাই কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীতে বর্তমানে জাতিসংঘে কর্মরত, ৫ম ভাই আমি নিজে, ৬ষ্ঠ ভাই ঢাকায় কর্মরত। ১ম বোন ঢাকা বাদশা ফয়সাল ইনিস্টিটিউটে কর্মরত, ২য় বোন কুমিল্লা আওয়ার লেডি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। ৩য় বোন ঢাকায় বসবারত গৃহিনী,৪র্থ বোন জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত স্বপরিবারে,৬ষ্ঠ বোন স্বপরিবারে অষ্ট্রেলিয়ায় কর্মরত।
মরহুম আবদুর রব মিয়া হলেন মরহুম আমিন মিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আমিন মিয়া তৎকালিন পাকিস্তান সরকারের আমলে প্রায় ১৮ বছর ডিস্ট্রিক বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। উনার তিন ছেলে দুই মেয়ে। প্রথম ছেলে মরহুম আঃ ছাত্তার মিয়া, ২য় ছেলে জনাব আঃ মান্নান মিয়া (হেড মাষ্টার), ৩য় ছেলে মরহুম আঃ রব মিয়া। ১ম মেয়ে মরহুমা ছালেহা খাতুন, ২য়া মেয়ে মরহুমা জাহানারা বেগম। মেয়র আসম মাহবুব উল আলম লিপন ব্যক্তিগত ভাবে স্ত্রী গৃহিনী ও একমাত্র কন্যা সন্তানের জনক।