শুক্রবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এই আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সামনে এগিয়ে আসুন। আর সময় নেই। এখন জেগে উঠতে হবে এবং দেশকে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা যদি সত্যিকার অর্থে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যে স্বপ্ন দেখেছিলাম সেই স্বপ্ন যদি পূরণ করতে চাই, জনগণের আকাঙ্ক্ষা যদি পূরণ করতে চাই, শহীদ জিয়াউর রহমান অসমাপ্ত কাজ এবং দেশের মানুষের অধিকার যদি ফিরিয়ে আনতে চাই, তাহলে আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। আন্দোলনের জন্য আর সময় নেই।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এই আন্দোলন এই সংগ্রাম কোনো ব্যক্তির জন্য নয়, এই আন্দোলন এই সংগ্রাম কোনো দলের জন্য নয়; এই আন্দোলন, এই সংগ্রাম দেশের মানুষের জন্য, জাতির জন্য। আজকে আমার জাতির সবকিছু হরণ করে নেয়া হয়েছে, লুট করে নেয়া হয়েছে। আজকে তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই দায়িত্ব বিএনপিকেই পালন করতে হবে।’
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের প্রশংসা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য তিনি আজো কারাবরণ করে আছেন। তার মতো মহিয়সী নেতা যিনি এদেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে সংগ্রাম করে, লড়াই করে দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতনের মুখে পড়ে বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে দলকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নিয়ে এসেছেন একবার নয়, তিনবার। প্রতিটি নির্বাচনে এই মহিয়সী নেত্রী যাকে আমার মনে হয়ে সেই হ্যামিলনের বংশীবাদক যার বাঁশির সুরে সমস্ত মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসে, সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আজকে আমাদের স্মরণ করাটা অত্যন্ত জরুরি। আজকে সেই দেশনেত্রী কারাগারে, গণতন্ত্র আজ কারাগারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের সমস্ত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, শুধু মামলা নয়, আমাদের ৫শর অধিক নেতা-কর্মী গুম হয়েছেন। এই অবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে আমাদেরকেই, বিএনপিকেই।’
বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই সন্তান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ খালেদা জিয়া পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে বন্দী হওয়ার দিনটি পালন উপলক্ষে এই ভার্চুয়াল আলোচনা হয়।
সভায় জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।