চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাঁদেরগাও ইউনিয়নের উত্তর নাগদা গ্রামে স্বামীর অত্যাচার নির্যাতন সইতে না পেরে স্ত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
নুর আলম ঢালী একজন নসিমনচালক। তাঁর প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে তাঁকে (নুর আলম) তালাক দিয়ে চলে যান ছয়-সাত বছর আগে।
এরপর নুর আলম বিয়ে করেন সুমি আক্তার (২৫) নামের এক তরুণীকে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তাঁর ওপরও চলতে থাকে স্বামীর নির্যাতন। ওই নির্যাতন সইতে না পেরে গত শনিবার সন্ধ্যায় স্বামীর বসতঘরের একটি কক্ষে কীটনাশক ওষুধ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হন।
স্থানীয় লোকজন সেখান থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, সুমি আক্তারের পৈতৃক বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নে। তাঁর স্বামীর বাড়ি মতলব দক্ষিণ উপজেলার মধ্য নাগদা গ্রামে। ওই দম্পতির দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, সুমিকে তাঁর স্বামী শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। সুমি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁকে কৌশলে মেরে ফেলা হয়েছে তা তাঁরা নিশ্চিত নন।
ঘটনার পর থেকেই তাঁর স্বামী ও পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় নানা সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে।
মতলব দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য ওই গৃহবধূর লাশ চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।