করোনাভাইরাসে কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) খাতের ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সুবিধা দিতে ব্যবসা উপখাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বাৎসরিক ঋণ বা বিনিয়োগের আনুপাতিক হার ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই সুবিধা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ঋণ বা বিনিয়োগের বড় অংশ ব্যবসা খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে দেখা যায়। এই খাতে বিনিয়োগের আনুপাতিক হার বাড়ালে আরও বেশি সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহককে ওই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আনা যাবে।
একই সঙ্গে এ বিষয়টিও পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, আলোচ্য প্যাকেজের আওতায় কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ বা বিনিয়োগ বিতরণ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। উৎপাদন ও সেবা শিল্পে কর্মসংস্থান বহাল রাখার পাশাপাশি ব্যবসায় নিয়োজিত প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের ক্ষতি কমাতে ওই উপখাতে ঋণ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে চলতি মূলধন বাবদ ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা দেয়ার জন্য এবং আলোচ্য প্যাকেজের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। যেমন-
এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ব্যবসা উপখাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত/প্রদেয় বিনিয়োগের অনুপাত বাৎসরিক ঋণ বা বিনিয়োগের ৩০ শতাংশের বেশি হলে (যা কোনোভাবেই ৩৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না) সমানুপাতিক হারে উৎপাদন ও সেবা উপখাতে প্রদত্ত/প্রদেয় ঋণ বা বিনিয়োগের অনুপাত কমবে।
তবে, ওই উৎপাদন ও সেবা উপখাতে প্রদত্ত/প্রদেয় সামগ্রিক ঋণের অনুপাত ৬৫ শতাংশের কম হবে না।
ঋণসীমা নির্ধারণে উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা উপখাতে গ্রাহকের ক্ষতির মাত্রা বিবেচনা করে বিদ্যমান বা নতুন ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদেয় ঋণ বা বিনিয়োগের পরিমাণ (চলতি মূলধন) সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিদ্যমান ঋণ-নীতিমালার আওতায় ব্যাংকার গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।
তবে, বিদ্যমান গ্রাহকের ক্ষেত্রে উল্লিখিত সীমা পূর্ববর্তী বছরে প্রদত্ত চলতি মূলধন ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধার বেশি হবে না। আলোচ্য প্যাকেজের আওতায় ঋণ বা বিনিয়োগ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের সময়সীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ করা হলো।