জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া:
কচুয়া উপজেলার সুন্দরী খালের তীরে বক্সগঞ্জ বাজারে একত্রে অবস্থিত উপজেলার পূর্ব ও পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়ন কার্যালয়। প্রবাদ আছে ব্রিটিশ আমলে বক্সগঞ্জ বাজারে হাতি, ঘোড়া দিয়ে দুরদুরান্ত থেকে লোকজন এ বাজারে যাতায়াত করত। মেঘনা নদীর উৎপত্তি হয়ে কুমিল্লা লালমাই পাহাড়ের অববাহিকা থেকে পানি প্রবাহের একমাত্র খাল হলো সুন্দরী খাল। যা বর্তমানে বিলিন হওয়ার পথে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন বক্সগঞ্জ বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প ছিল। এ পথ দিয়েই ভারতে যাওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা ও শরনার্থীদের নিরাপদ পদ ছিল। ঐতিহ্যবাহী এ স্থানে কাচারী বাড়ী নামে ক্ষ্যত ভূমি কার্যালয় ব্রিটিশ আমল থেকে নির্মিত হয়ে ভূমি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো: সেলিম হোসেন বকাউল জানান, ৩০নং সেঙ্গুয়া মৌজায় সাবেক ৪২২২, ৪২২৩ হাল দাগে ভূমি অফিসের ৪৬ শতাংশ জমি রয়েছে। ব্রিটিশ আমল থেকে এ স্থানে পুরনো ঝরাজীর্ণ একটি ভবনে পরিচালিত হচ্ছে অফিসিয়াল কার্যক্রম। বর্তমানে টিনসেট ভবনটি পুরনো ও ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। একটু বৃষ্টি আসতে না আসতেই ভবনের চারদিক ভিজে যায়। এছাড়া প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও সৌচাগারের অভাবে কর্মকর্তারা রয়েছে বিপাকে। বিশেষ করে দূরদুরান্ত থেকে আশা লোকজন প্রায়ই দুর্ভোগে পড়তে হয়। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো: সেলিম হোসেন বকাউল আরো জানান, ভবন সমস্যা ও দেয়াল নির্মাণের বিষয়ে ইতিপূর্বে কয়েক দফা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহমদ সুমন জানান, কচুয়ায় যে ক’টি ঝুঁকিপূর্ণ ভূমি অফিস রয়েছে সেগুলো সংস্কারের বিষয়ে গতমাসে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
কচুয়া: সমস্যায় জর্জরিত সহদেবপুর পূর্ব ও পশ্চিম ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়।