অনলাইন ডেস্ক:
সফল ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা আজ গণমানুষের সেবক। নড়াইল-২ আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে শুরু করেছেন জীবনের নতুন অধ্যায়। নিজের সাফল্যের জন্য সহধর্মিনী সুমনা হক সুমির অবদানের কথা স্বীকার করলেন অকপটেই। অন্যদিকে সুমি বললেন, সততা আর নিজের সংকল্পের প্রতি একাগ্রতাই মাশরাফিকে এতটা পথ নিয়ে এসেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সদস্যের শপথ অনুষ্ঠানে ক্যামেরার চোখ আলাদা করেই খুঁজেছে তাকে। ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান রাখা অনেকেই এর আগে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন একাধিকবার। তবে, এবারই প্রথম সংসদে বসবেন মাশরাফি। ক্রিকেটের মাঠে সফল নেতৃত্বের পর এবার গণপ্রতিনিধি তিনি।
তবে অর্জনের এই পথ ছিল বন্ধুর। অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে মাশরাফির ঢাল হয়ে থেকেছেন যিনি, তিনি তার স্ত্রী সুমনা হক সুমি।
নড়াইল-২ এর নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, সুমনা হক সুমি আমার স্ত্রী যে স্বতঃসফূর্তভাবে আমাকে সহযোগিতা করছে। আমি আশা করি সহযোগিতা করেও যাবে। আমার কঠিন সময়গুলোতেও পাশে ছিল আশা করি সামনেও থাকবে।
২০০৬ সালে সুমনা হক সুমির সঙ্গে জীবনের ইনিংসের সূচনা মাশরাফির। ২০১১ সালে বিশ্বকাপ দল থেকে ম্যাশ বাদ পড়ার পর পরম বন্ধুর মতো প্রেরণা যুগিয়েছেন সুমি। যদিও অকপটে বললেন, সততাই মাশরাফিকে দিয়েছে সবকিছু।
সুমনা হক সুমি বলেন, ‘স্বামী হিসেবে পরে মূল্যায়ন করি, মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করলে প্রথমে তিনি একজন বড় মাপের মানুষ। ২০১১ সালের ঘটনা আমার চেয়ে ওর বেশি মনে আছে, তখন আমি বেবি হওয়ার কারণে এত বেশি অসুস্থ ছিলাম। সেসময়ে ওর মন খারাপ থাকতো আমি বুঝতে পারতাম, তারপরও সে আমার খেয়াল রেখেছে।’