২৪৮। খুব বড় চ্যালেঞ্জ ? এ রানটাই পাহাড় সমান হয়ে দাঁড়াল বাংলাদেশের সামনে। গ্রেনাডায় সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ২৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই খেই হারিয়ে ফেলল মুশফিকুর রহিমের দল। ২৪.৪ ওভারে মাত্র ৭০ রানে অলআউট হয়ে ১৭৭ রানে হারল বাংলাদেশ। এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ হারায় সেন্ট কিটসে শেষ ম্যাচটা হয়ে দাঁড়াল স্রেফ আনুষ্ঠানিকতায় ।
ওয়ানডে ম্যাচে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বনিম্ন রান। সর্বনিম্ন ৫৮ রান করেছিল এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই, ২০১১ বিশ্বকাপে। অবশ্য ৫৮ রানের সর্বনিম্ন রানের আরেকটি রেকর্ড আছে ভারতের বিপক্ষে। গত বছর ৩ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর জয় যেন বাংলাদেশের কাছে মরিচিকা। এর মধ্যে ১১টি ওয়ানডেতে জয় নেই একটিতেও। সে তালিকায় যোগ হলো আরও একটি ম্যাচ। ব্যর্থতার এ বৃত্ত থেকে কবে বেরোবেন মুশফিকরা, সে উত্তর আপাত অজানা।
তামিম ইকবাল বাদে আর কোনো ব্যাটসম্যান আজ দাঁড়াতেই পারেননি ক্যারিবিয়ান বোলারদের সামনে। তামিম বাদে দুই অঙ্ক ছুঁতে পারলেন না কেউ! উইকেট পতনের মিছিল এতটাই তীব্র ছিল, এলো না ন্যূনতম প্রতিরোধও! এমন অসহায় আত্মসমাপর্ণ কেবল দৃষ্টিকটুই নয়, প্রশ্ন উঠল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য নিয়েও।
আগের দিনের সফল এনামুল হক আজ ফিরলেন মাত্র ৭ করে। হোল্ডারের অফস্টাম্পের বাইরের বলটি ব্যাট ছুঁয়ে ঠাঁই নিল রামদিনের গ্লাভসে। অবশ্য এনামুলের আউটটি নিয়ে সংশয় ছিল। রিভিউ নিলেন তিনি। কিন্তু চূড়ান্ত রক্ষা হলো না। গত ম্যাচের মতো আজও সুনীল নারাইন চেপে ধরলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। নারাইনের করা ১৬তম ওভারে পরপর দুই বলে ফিরে গেলেন মুশফিকুর রহিম (৬) ও মাহমুদউল্লাহ (০)। হ্যাটট্রিকটা অবশ্য করতে পারেননি নারাইন। ধারাবাহিক ব্যর্থতা থেকে আজও বেরোতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ।
তামিম আশার সলতে হয়ে জ্বলে ছিলেন অনেকক্ষণ। কিন্তু তিনি কেমার রোচের বলে ৩৭ রান করে ক্রিস গেইলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন। তামিমের শট দেখে মনে হলো, ক্যাচ শেখাচ্ছেন গেইলকে! আত্মহননের মিছিল শেষ পর্যন্ত চলল। আরেকবার বিরাট ব্যবধানে পরাজয়ের লজ্জা নিয়ে মুশফিকদের থামতে হলো মাত্র ৭০ রানেই। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিরাট ব্যবধানে পরাজয়ের তালিকায় এ ম্যাচের অবস্থান সাতে।