প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন তৃণমূলের উন্নয়ন, নৌকায় ভোট দিলে কেউ কোনোদিন অধিকার বঞ্চিত হয় না।
বুধবার বিকাল ৪টার দিকে শেখ লুৎফর রহমান কলেজ মাঠে জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
দেশের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে সবার সহযোগিতা চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কোনো দরিদ্র থাকবে না, বেকার থাকবে না।
এ সময় নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে আবারও দেশের সেবা করার সুযোগ চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা আমার একমাত্র লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল বলে সারাবিশ্বে বাংলাদেশে আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আগুন সন্ত্রসীদের ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ করুন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তার ছোটবোন শেখ রেহানা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও ফেরদৌস।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান প্রমুখ।
এ নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। দুপুরে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর সেখান থেকেই তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেন। পরে পৈতৃক বাড়িতে দুপুরের খাবার শেষে নির্বাচনী সভায় অংশ নিতে কোটালীপাড়ায় যান।
বৃহস্পতিবার সড়কপথে ঢাকায় ফেরার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড়, ফরিদপুর মোড়, রাজবাড়ী মোড়, পাটুরিয়া ফেরিঘাট, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, ধামরাই রাবেয়া মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল মাঠে ও সাভার বাসস্ট্যান্ডে নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলেও একটি সূত্রে জানা গেছে।