চাঁদপুরের সাবেক জনবান্ধব জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম আর বেঁচে নেই। তার মৃত্যুতে গভীর মর্মাহত চাঁদপুরের সর্ব মহলের সুধীজন। গেলো ৩’রা সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর ৫:২০ মিনিটের সময় ঢাকাস্থ কলাবাগানে তাঁর নিজ ফ্ল্যাটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
জানা যায়, চাঁদপুরের সাবেক এই জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিমের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী দুই মেয়ে এক ছেলেসহ বহু আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
আরও জানা যায়, মৃত্যুর দিন ঢাকা কলাবাগানে তাঁর নিজ বাড়ির সামনেই তাঁর প্রথম জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। পরে তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ময়মনসিংহ শহরের তাঁর পৈতৃক বাড়ীতে। সেখানে স্থানীয় ১টি মসজিদের মুকাররম প্রাঙ্গণে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষ সম্পন্ন করা হয়। এরপর মাদ্রাসা কোয়ার্টার কবরস্থানে তাঁর বাবার কবরের পাশেই সাবেক এই জেলা প্রশাসককে সমাহিত করা হয়।
এদিকে চাঁদপুরের সাবেক জনবান্ধব এই জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিমের মৃত্যুর খবরটি ‘হিলশা নিউজ‘-কে নিশ্চিত করে
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, মোঃ রেজাউল করিম ১৯৯৮ সালে চাঁদপুরের ৮ম জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেছিলেন। এরপর ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রায় দুই বছরেরও অধিক সময় তিনি বেশ সুনাম ও সফলতার সহিত চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সরকারের যুগ্ম সচিব পদোন্নতি লাভ করে অবসর গ্রহণ করেছিলেন।
সূত্র মতে, মোঃ রেজাউল করিম সচিব পদোন্নতি পেতে প্রথমে হাইকোর্টে রীট করেন। সেই রীটের রায় পরবর্তীতে তার পক্ষে যায়। যা সুপ্রীম কোর্ট থেকেও তিনি সচিব পদে রায়টি পেয়েছিলেন এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবেই তাঁকে গণ্য করা হয়। কিন্তু বিশেষ বিষয়টি হচ্ছে তিনি ওই রায়টি ২০১৫ সালে পেলেও তার প্রজ্ঞাপনটি ২০২১ সালে তার স্ত্রীর হাতে পৌঁছায়। দেড়ীতে হলেও সরকারের এমন প্রজ্ঞাপন হাতে পেয়ে বেজায় খুশি তার পরিবারও। কিন্তু তখন আর কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না মোঃ রেজাউল করিম। একজন সচিবের মর্যাদা তার পরিবার দেখতে পেলেও তিনি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হওয়ায় তার সুফল ভোগ করতে পারেননি।
এদিকে সাবেক এই জনবান্ধব জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিমের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তাঁর সাবেক কমস্থল চাঁদপুরের সুধীমহল।
অমরেশ দত্ত জয়ঃ