চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে চোরাকারবারি। প্রতিদিন রাতের আঁধারে জমে উঠছে তাদের চোরাকারবারি।
নদীপথে রাতের আঁধারে চট্রগ্রাম থেকে আসা জাহাজে করে ঢাকা যাবার পথেই চোরাকারবারির সিন্ডিকেট দল বিভিন্ন পণ্য চুরি করে তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
কয়েকটি সূত্র থেকে জানা যায়,গত কয়েক বছর এইসব চোরাকারবারিরা কিছুটা নীরব থাকলেও এখন আবার তাদের চোরা কাজে লিপ্ত হচ্ছেন।
ওই সূত্র থেকে জানায়, চাঁদপুর জেলার চোরা ককারবারি গড ফাদার যারা, তারা সপ্তাহে দু এক বার রাতের আঁধারে নদীপথে চোরাই কাজ করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নীরবতার ফলে গড ফাদারদের বড় ভিটাররা অনেকটা সক্রিয় বলে সচেতন মহল মনে করেন।
এর আগেও চোরা কারবারির সাথে জড়িত সেলিম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্বে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন নজর দেন নি বলে সেলিমের কাজ কর্ম থেমে থাকে নি। চোরাকারবির সাথে জড়িত রাঘোব বোয়ালদের ইশারায় চাঁদপুর জেলায় চোরাই পণ্যর সমাহার ঘটে।
জানা যায় বর্তমান বাজারে এরা সব চেয়ে বড় বিটার যারা রাতের পর রাত লাখ লাখ টাকা কামিযে নিচ্ছেন।
এদের মধ্যে রয়েছে মোঃ মিজান ঢালী, পিতা মৃত আব্দুল লতিফ ঢালী, সাং পূর্ব শ্রীরামদী ঢালী বাড়ি পুরানবাজার চাঁদপুর, মোঃ মিন্টু ঢালী পিতা মৃত রহমান ঢালী, সাং মোম ফ্যাক্টরী পুরানবাজার চাঁদপুর, তাদের আরেকজন সহযোগী রয়েছে।
এরা দুই জন চট্রগ্রাম থেকে জাহাজ করে আসা কন্টিনার জাজাজ থেকে ফতুল্লা এলাকায় চোরাই মালামাল কিনার সময় পুলিশের হাতে আটক হয় এবং চোরাই মাল কিনার অপরাধে গত ১৩ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্বে মামলা দায়ের হয়, মামলা নং৩৮ ধারা ৩৭৯ – ৩৪ পেন্যাল, সেই মামলায় এরা দুই জনই ১৩ দিন কারাভোগ করেছেন কেরানীগঞ্জ জেলা কারাগারে। সে সময় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে বলেও তথ্য রয়েছে।
জানা যায় আটকের সময় এরা কন্টিনার জাহাজ থেকে বিদেশী স্প্রে, অটো বাইকের মটর পার্স, সহ বিদেশী সেম্পু বিদেশী কাপড়, চোরাই পথে কিনতে গিয়ে হাতে নাতে আটক হয়।বর্তমানেও মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
এরপরও থেমে থাকেনি তাদের এমন চোরাই কর্মকান্ড। তাদের এই চোরাই কাজের সাথে নিলেন মঞ্জিল বেপারি নামের আরেক চোরা কারবারি জড়িত রয়েছে, যে কিনা টাকা যোগান দেয়।
বেশ কিছুদিন পূর্বেও গভীর রাতে মেঘনা নদীর মোহনার এিমুখী পশ্চিম পাড় এলাকা থেকে রাত দুই টার সময় আনুমানিক ১২ লাখ টাকার গম জাহাজ থেকে চোরাই পথে আমদানী করেছে বলেও তথ্য রয়েছে।
এছাড়া এমন কোন সপ্তাহ বাদ নেই যে তারা চট্রগ্রাম থেকে আসা জাহাজ থেকে চিনি, স্যার, ভূট্রা, গম তেল চুরি না করে থাকেন। যে সপ্তাহে রবি বার, মঙ্গল বার, বৃহস্পতি বার এই তিন দিনের যে কোন দিন সুযোগ বুঝে এরা চোরা কারবারি করে থাকে বলে জানা যায়।
এদিকে চোরা কারবারিদের গড ফাদার মিজান, মিন্টু, মঞ্জিল, তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে জেলা জুড়ে চোরাই পণ্য গুলি পাচার করছে। যা জেলার থানা পুলিশ অনুসন্ধান করলে তা বেরিয়ে আসবে।
কিন্তু তারা চতুর বলে অনেকেই তাদের খুঁজে বের করতে পাড়ছে না, কারণ তাদের নিজস্ব ঠিকানা থাকলেও তারা ঠিকানা বিহীন বসবাস করে। তবে মেঘনা নদীতে প্রশাসন দৃষ্টি রাখলে এই সব চোরা কারবারিদের আটক করা সম্ভব হবে।
এদেরকে প্রতিহত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ প্রশাশনের জরুরী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।