মোঃ কামাল হোসেন
হাজীগঞ্জের বলাখাল-রামচন্দ্রপুরবাসীর স্বপ্নের ব্রীজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। কবে হবে প্রতিক্ষায় ছিলো নদীর দক্ষিণ পাড়ের প্রায় লাখো মানুষ। অবশেষ তারিখ পড়লো ৩০ জানুয়ারী ব্রীজটি উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনের তারিখ পড়ার পর থেকেই দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে যেন ঈদ উৎসব কাজ করছে আর আয়োজকরা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে উদ্বোধক মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এর কাছে। আয়োজকরাও ২৯ তারিখের মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। ৩০ তারিখ সকাল থেকেই দুর দুরান্ত থেকে সকল দলের এবং সকল শ্রেণীর মানুষ আসতে শুরু করে। এমন কি ঐ অঞ্চলের নারীরাও ঈদের মতো সেজেগুজে আসতে শুরু করে। আয়োজকরা একটি ভিন্ন ধরণের আয়োজন করে। যা ১০০ বছরের কোন মানুষের ইতিহাসে দেখেনি। যা হলো নতুন স্বপ্নের ব্রীজের উপরে। মনে হয় এ যেনো ব্যতিক্রমি একটি দৃশ্য। দুপুর দুটার মধ্যে ব্রীজের উপর এবং দুপাশে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয় কখন তাদের কাঙ্খিত প্রিয় মানুষ মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম স্বপ্নের ব্রীজটি উদ্বোন করবেন। কিছুক্ষণ পর পর মাইকে বলা হচ্ছে আমাদের প্রধান অতিথি এখনই আসবেন। কিন্ত না প্রধান অতিথি কখন আসবে তা উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ বলছেন, মনে হয় যেন শেষ হয়েও শেষ হয় না। কিন্তু না উপস্থিত হাজার হাজার মানুষের প্রিয় মানুষ মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম পৌনে তিনটার সময় ব্রীজের উত্তর পাড়ে গাড়ি নিয়ে আসার সাথে সাথে হাজার হাজার নারী-পুরুষ হাত তালি দিয়ে অভিনন্দ জানানো শুরু করেন। ৫ মিনিটের মধ্যে ব্রীজের উত্তর পাড়ের নাম প্লেটে থাকা লাল কাপড় সরিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সাথে সাথে উপস্থিত জনতার মধ্যে যেন ঈদের আনন্দের মতো হাসতে দেখা গেছে। মুহুর্তের মধ্যে পাল্টে গেলে পুরো দৃশ্য। উদ্বোধন শেষ মঞ্চে যাওয়ার সময় মেয়েরা ফুলের পাপড়ি দিয়ে মেজর অব রফিকুল ইসলামকে অভিনন্দন ও ছেলেরা পাটি স্পে দিয়ে আনন্দ শুরু করে। আগত অতিথিরা এ দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে পড়েন। বলতে থাকেন একটি ব্রীজের জন্য হাজার হাজার মানুষ এতো খুশি। সত্যি এটা একটা বিরল দৃষ্টান্ত।
মেজর (অব) রফিকুল ইসলামের বক্তব্য দেয়ার সময় উপস্থিত জনতা কিছুক্ষণ পর পর হাত তালি দিতে থাকে। যখন বলেন দক্ষিণ অঞ্চলে আরো উন্নয়ন করা হবে তখন উপস্থিত জনতার মধ্যে খুশির বন্য বইতে শুরু করে। আগামীতে যেনো প্রিয় নেতা মেজর (অব) রফিকুল ইসলামকে তারা পায়।