অন্যের বউয়ের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় জনতার হাতে আটক ঢাকার ধামরাইয়ের মুন্সিচর পল্লীবিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের সেই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রোববার (৯ মে) সকালে ওই কর্মকর্তার বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। একই সঙ্গে স্বামীর ঘর ভেঙেছে পরকীয়া প্রেমিকা অভিযুক্ত আফসানা আক্তারের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ধামরাইয়ের কুশুরা জোনাল অফিসের আওতাধীন চৌহাট ইউনিয়নের মুন্সিচর অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ গ্রেড ওয়ান অফিসার মো. জসীম উদ্দিন উক্ত গ্রামের এসআই মো. আনিসুর রহমান আনিসের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। এরই সুবাদে প্রতিবেশী মো. রুবেল হোসেনের স্ত্রী আফসানা আক্তারের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৭ মে) দিনগত রাতে বিদ্যুৎ কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন রুবেলের স্ত্রী আফসানা আক্তারের ঘরে গিয়ে তার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশায় লিপ্ত হয়। এ সময় ওই গৃহবধূর স্বামী রুবেল হোসেন বাড়িতে ছিলেন না। তিনি মসজিদে তারাবির নামাজ আদায় করছিলেন। এ সময় প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে ওই প্রেমিক যুগলকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। পরে যুগলবন্দি করে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ফেলে। স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. ফারুক হোসেনের হস্তক্ষেপে তারা শনিবার বিকালে মুক্তি পায়।
ওই বিদ্যুৎ কর্মকর্তা মুক্তির পর আত্মগোপন করে। এরপর তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পেরে রোববার (৯ মে) সকালে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। পরবর্তী সময়ে আদেশ না হওয়া পর্যন্ত ওই বিদ্যুৎ কর্মকর্তা অফিসের কোনো কাজ করতে পারবে না বলে জানা যায়। অন্য দিকে ওই গৃহবধূকে স্বামীর ঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় তার বাবার বাড়ি অবস্থান করছে।
রুবেল হোসেন জানান, এমন দুশ্চরিত্রবান বউকে নিয়ে সংসার করা যায় না। তাই তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি। সে তার বাবার বাড়িতে চলে গেছে। আর কোনো দিনই আমি তাকে ঘরে তুলবো না।
এ বিষয়ে কুশুরা পল্লীবিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুল বারি বলেন, এ ঘটনাটি খুবই ন্যক্কারজনক। তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি অধিক গুরুত্বসহকারে দেখছেন। তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশই বহাল থাকবে।