শুক্রবার রাতে বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে আওয়ামী লীগ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান বীরশ্রষ্ঠ এর দেহাবশেষ পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ঘটনাবলী দেখলে মনে হয়, এদেশে কোনো মুক্তিযুদ্ধ কেউ করে নাই একমাত্র একজন ব্যক্তি ছাড়া। অথচ তিনি সেই দিন দেশেই ছিলেন না, পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি ছিলেন। আওয়ামী লীগের এই সরকার আজকে একবারের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানী সাহেবের নাম উচ্চারণ করেন না, তারা সেই সময়ে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ সাহেবের অবদানের কথা একবারের জন্য বলেন না।
‘লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধা যারা সাধারণ মানুষ থেকে এসেছিলো, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলো তাদের কথা তারা উচ্চারণ করেন না। আর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সাহেবকে তারা খলনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য যত রকমের বিকৃত ইতিহাস আছে তার সেটার একটা ক্যাম্পেইন শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় বসে আছেন জোর করে ক্ষমতা দখল করে একটা হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর মতোই মানুষের সমস্ত অধিকারগুলোকে খর্ব করছে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে চেতনা ছিলো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা তাকে ধবংস করে দিয়ে মানুষের আশা-আকাঙ্খাকে ভুলণ্ঠিত করে দিয়ে একটা এক দলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা আজকে মানুষের ওপর অত্যাচার-জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান বক্তব্য রাখেন।