সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ মে) সকালে মামলাটি সেখানে স্থানান্তর করা হয় বলে জানা গেছে।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি’র রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।
তিনি বলেন, উর্ধ্বতন পর্যায়ের নিদের্শে আজ সকালে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। তারাই মামলার পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
ডিবি জানিয়েছে, ডিবি মামলাটি বুঝে পেয়েছে। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এখনো নিয়োগ হয়নি।
গত সোমবার (১৭ মে) পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। সেখানে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় তাকে আটকে রেখে হেনস্তা করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত ৯টার দিকে তাকে সচিবালয় থেকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। রাতেই রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
এরপর মঙ্গলবার (১৮ মে) বেলা ১১টার একটু পরে সিএমএম আদালতে তোলা হয়ে রোজিনাকে। এর আগে তাকে শাহবাগ থানা থেকে আদালতে নেওয়া হয়। সকাল ৮টার দিকে রোজিনা আদালতে পৌঁছান। সে সময় তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আরিফুর রহমান সরদার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে রোজিনা ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত তার রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আগামী ২০ মে তার জামিন শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালতের আদেশের পর রোজিনা ইসলামকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ, বাংলাদেশে সাংবাদিকদের হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ এই সংগঠনটি। বিশ্ব সংস্থাটি জানিয়েছে, বিষয়টির দিকে তারা নজর রাখছে এবং এটি স্পষ্টতই উদ্বেগের।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মে) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিককে হয়রানি ও গ্রেপ্তার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ উদ্বেগের বিষয়টি জানান।