রাজশাহী বাগমারা উপজেলার কোন্দা গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ওয়াহেদ মোল্লার (৬০) বিরুদ্ধে ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের কারণে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়। শনিবার (২০ মার্চ) রাতে পুলিশ ধর্ষণ মামলা গ্রহণ করে। এর আগে গ্রামে বিষয়টি মীমাংসার জন্য চেষ্টা চালানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোন্দা গ্রামের শিক্ষক ওয়াহেদ মোল্লা বুধবার দুপুরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ওই শিশুকে খাবারের লোভ দেখিয়ে তার বাড়িতে ডেকে নেন। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। শিশুটিকে ঘরে নিয়ে খাবারের বদলে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন মোল্লা। এ সময় ভুক্তভোগী শিশুটি কান্না শুরু করলে তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য বলেন। ঘটনাটি কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
পরে শিশুটি বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভয়ের কারণে ওই দিন ঘটনাটি পরিবারের কাউকে জানায়নি। শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরদিন বৃহস্পতিবার সে ঘটনাটি তার মাকে জানায়। ভুক্তভোগীর মা পরিবারের অন্য সদস্যদের জানালে তারা ওই শিক্ষকের কাছে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চান।
এক পর্যায়ে শিক্ষক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ অপরাধের জন্য ক্ষমা চান এবং স্থানীয়ভাবে সুরাহার জন্য ওয়াহেদ মোল্লা অনুরোধ করেন। পরে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন বিক্ষুব্ধ হলে তিনি পালিয়ে যান।
শনিবার (২০ মার্চ) রাতে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও লোকজন শিশুসহ তার মা-বাবাকে বাগমারা থানায় নিয়ে যান। শিশুর মা বাদী হয়ে শিক্ষক ওয়াহেদ মোল্লাকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন।
এ ঘটনার বিষয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামি ওয়াহেদ মোল্লা পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।