চাঁদপুরের হাইমচরে নিজ বাড়িতে আগুনে পুড়ে এক শিক্ষিকার মৃত্যু হয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোর রাতে হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম চরকৃষ্ণপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিখা রানী মজুমদার (৪৫) স্থানীয় ফিরোজা কিন্ডারগার্টেনে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আগুনে শিক্ষিকার মৃত্যু হলেও তার বসতঘর অক্ষত রয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে হাইমচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।’
চাঁদপুর সিআইডির পরিদর্শক আহসান হাবিব বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমরা ছায়া তদন্ত করছি। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন ধরনের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ঘটনা কীভাবে ঘটেছে, তা তদন্ত শেষে বলা যাবে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, আগুনে পুড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শিখা রানীর ভাবি সবিতা রানী মজুমদার বলেন, ‘বাড়িতে আমি ও শিখা থাকতাম। সে অবিবাহিত ছিল। আজ ভোর রাতে আগুন লাগার চিৎকার শুনে ঘুম থেকে জেগে উঠি। দেখি, পাশে ঘুমানো শিখা নেই। পরে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি, শিখার শরীরে আগুন জ্বলছে।’
সবিতা রানী বলেন, ‘আমাদের বা শিখার সঙ্গে কোনো ধরনের বিরোধ নেই। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে বুঝতে পারছি না। আমি এই ঘটনায় কাউকে সন্দেহ করছি না।’
স্থানীয় বাসিন্দা শোভা রানী বলেন, ‘আমি ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় বের হয়ে দেখি আগুন জ্বলছে। কাছে গিয়ে দেখি শিলার শরীর আগুনে জ্বলছে। আমি তখন অন্য কাউকে দেখিনি। তখন ডাক-চিৎকার শুরু করলে আশপাশের সবাই দৌড়ে আসে।’
স্থানীয় বাসিন্দা অনিল কৃষ্ণ মাঝি ও বিমলা বলেন, শিলা ভালো প্রকৃতির মেয়ে। সে খুব ধার্মিক ছিল। কখনো তার সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ দেখিনি।
শিলারা ৪ ভাই ও ৫ বোন। তার বাবা বিশম্বর মজুমদার ও মায়ের নাম পুষ্প।
পুলিশ পরিদর্শক সুব্রত কুমার জানান, বাড়িতে শিলা তার বড় ভাই শকতি মজুমদারের সঙ্গে বসবাস করতো। পাশাপাশি সে স্থানীয় স্কুলে চাকরি করতো। তার ভাই মারা যাওয়ার পর বাড়িতে শিলা ও তার ভাবি সবিতা রানী মজুমদার বসবাস করতো।
তিনি বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।