কারাগারের ভেতরে ঘটা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর কীভাবে সাংবাদিক বা গণমাধ্যমের কাছে যায় তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কারা অধিদপ্তর। বিশেষ করে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে হল-মার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদ বিধি লঙ্ঘন করে এক নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর ঘটনার ভিডিও ফুটেজ কীভাবে গণমাধ্যমে গেল এবং কীভাবে গণমাধ্যম কারা অভ্যন্তরের দাপ্তরিক নথিপত্র পায়, তা অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করেছে কারা অধিদপ্তর।
যশোরের কারা উপমহাপরিদর্শক মো. ছগির মিয়াকে সভাপতি করে তিন সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার জ্যেষ্ঠ জেল সুপার (চলতি দায়িত্ব) মো. গিয়াস উদ্দিন ও ফরিদপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার আল মাসুম।
কেন এ ধরনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ভিডিও ফুটেজ যাওয়া গুরুতর অপরাধ। এটা কীভাবে গেল তা খুঁজে বের করা জরুরি। এটা খুঁজে বের করব এবং অ্যাকশনে যাব।
এ সময় তিনি আরো বলেন, কারাগারে কী ঘটছে সেটা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সাংবাদিকদের দেবে কেন? কারাগারের ভেতরে কী হচ্ছে, তা যদি কড়াকড়ি করতেই না পারি তাহলে সাংবাদিকেরা গিয়ে কারাগারের ভেতরেই থাকুক।
তদন্ত কমিটি গঠনসংক্রান্ত এ চিঠিতে বলা হয়েছে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ গাজীপুরের অফিসকক্ষে হাজতি বন্দী তুষার আহমদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজ চ্যানেল ২৪ ও পরবর্তীতে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজ এবং প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কারা অভ্যন্তরের দাপ্তরিক নথিপত্র কীভাবে বা কার মাধ্যমে হস্তগত হয়েছে, তা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
কারা অধিদপ্তর কমিটিকে এ ঘটনার সম্ভাব্যতা যাচাই এবং কারাবিধির আলোকে অপরাধ নির্ণয়, দায়ী ব্যক্তি চিহ্নিত (যদি থাকে) ও দায়ী ব্যক্তিদের অপরাধ সম্পর্কে কারাবিধি অনুযায়ী মতামত ও সুপারিশ এবং ভবিষ্যতে করণীয় সম্পর্কে মতামত দিতে বলেছে।