পিরোজপুর ভান্ডারিয়া পৌর শহরে এক কলেজছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ধর্ষণ থেকে রক্ষা পায় ওই ছাত্রী।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) ভোর পাঁচটার দিকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ভান্ডারিয়া পৌর শহরে লক্ষীপুরা গ্রামের হাইস্কুল সড়কে রিপন বেপারীর ভাড়াটিয়া ফিরোজা বেগমের বাসায় একাদশ শ্রেণির এক কলেজছাত্রী বেড়াতে আসে। মঙ্গলবার ভোরে সোহেল মুন্সী (২৬) নামের এক বখাটে তার রুমে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় মেয়েটি কৌশলে ৯৯৯ নম্বরের কল করে। পরে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং লক্ষীপুরা গ্রামের মো. মফিজুর রহমান মুন্সীর ছেলে সোহেল মুন্সীকে গ্রেপ্তার করে। এসময় ধর্ষণের চেষ্টা কাজে সহায়তা করার অপরাধে মেয়েটির ধর্ম খালা ফিরোজা বেগম (৪৫)কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
উপজেলা দক্ষিণ শিয়ালকাঠী লিয়াকত মার্কেটের মো. রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ফিরোজা বেগম।
এ ঘটনায় ওই মেয়েটি নিজে বাদী হয়ে ২ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী কলেজে যাওয়া-আসার সময় ফিরোজা বেগমের সঙ্গে পরিচয় হয়। এতিম মেয়েটি ফিরোজা বেগমকে খালা ডাকত। তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক হওয়ার পর প্রায়ই ওই কিশোরী ফিরোজা বেগমের বাসায় যেত। মেয়েটির কিছু কাগজপত্র ফিরোজা বেগমের কাছে ছিল।
গত সোমবার বিকেলে মেয়েটি কাগজপত্র নেয়ার জন্য ফিরোজা বেগমের বাসায় যায়। ফিরোজা বেগমের অনুরোধে মেয়েটি তার বাসায় রাত যাপন করে। পরে এই ঘটনাটি ঘটে।
ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ এস.এম. মাকসুদুর রহমান জানান, পুলিশ খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটিকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে মেয়েটি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।