উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে এলাকার প্রতিটি অঙ্গিনা আমার কণ্ঠ রিপোর্ট হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড রাজনৈতিক ও গনবসতি এলাকা। উত্তরে আঞ্চলিক রাস্তা-পূর্বে হাজীগঞ্জ বাজারের একটি অংশসহ দক্ষিনে ডাকাতিয়া নদীর পাড়া আর পশ্চিমে মিঠানিয়া ব্রীজ পর্যন্ত নিয়ে এলাকা। এ ওয়ার্ডে সর্বদলীয় লোকদের বসবাস। বিশেষ করে আওয়ামীলীগ-বিএনপি ও জামায়াতে ইসলাম। আর রয়েছে কানায় কানায় মানুষের বসবাস। এক সময় এলাকায় তেমন একটা মানুষ বসবাস করার জন্য যেতো না। এখন এ এলকায় সবচেয়ে বেশি গণবসতি। আরেকটি বিশেষ লক্ষনীয় হলো এ ওয়ার্ডে মুসলমান বেশি হলেও হিন্দু সম্পদায়ের সংখ্যা কম নয়। হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়িক হিন্দু সম্পদায়ের ৮০ ভাগ বিত্তবানদের বসবাস এ ওয়ার্ডে। এ একা দুধারায় সব সময় ভোটের ক্ষেত্রে কাজ করে। এ ওয়ার্ডে বিশিষ্ট জনদের মধ্যে জন্ম হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী মাঈনুদ্দিনসহ আরো অনেকে। অপরদিকে বসবাস করেন জাময়াতের পৌর আমীর মীর হোসাইনসহ জামায়াতের অসংখ্যা নেতাকর্মীরা। জামায়াতের জন্য নিরাপদ জায়গা হিসেবেও বিবেচনা করা হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে। জামায়াতে ইসলামও এ জায়গাকে নিরাপদ হিসেবে বহুবছর থেকে বসবাস করে আসছে। এখানে বসবাস করার সুবাদে তাদের দলের নিয়ন্ত্রধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল কাউসার স্কুল আল কাউসার একাডেমি পরিচালনা করতে সুবিধা হয়। রাজনতৈক আন্দোলনে আওয়ামীলীগের পক্ষে গাজী পরিবারের ভূমিকা থাকে বেশি। আন্যান্যরা থাকে সহযোগিতা হিসেবে। তার পরেও ক্ষমতার দাপট আওয়ামীলীগেরই বেশি। এ ওয়ার্ডে সবার দৃষ্টিতে রয়েছে পশ্চিমবার চৌরাস্তায় নির্মিত ভাসকার্য্য। আর তেমন একটা কিছু নেই। হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভাবে শিক্ষয় পিছিয়ে রয়েছ এলাকার মানুষ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন ব্যক্তিরা। কিন্তু জায়গার মূল্য বেশির কারণে পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে আশা রয়েছে উদ্যেগকারিদের। এলাকার ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা বলেন এ ওয়ার্ডে তেমন কোন কিছু ছিল না। তিলে তিলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ওয়ার্ডের প্রটি জায়গা দিয়ে এখন মানুষ চলাচল করতে পারে। পৌর সভার যেই মেয়র হয় এওয়ার্ডের জন্য বিশেষ নজর রাখেন যারা কারনে আমাদের ওয়ার্ডের উন্নয়ন দুত্র“ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। গনবসতি এলাকা হিসেবে পানি নিস্কাশনসহ যেসকল সদস্যা রয়েছে তা সাধান করা হলে এ ওয়ার্ড হবে সবার সেরা। গত কয়েক দিন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এলাকার ভোটারদের সাথে কথা হলে তারা উরোক্ত কথা গুলো বলেন। তরা আরো বলেন এ ওয়ার্ডে দুধারার ভোটের কারণে সব সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের কাউন্সিলর প্রার্থী থাকে একজন আর মুসলমান প্রার্থী থাকে একের অধিক। যার কারণে এ ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থীই সবসময় জয়লাভ করে থাকে। মুসলমান প্রার্থীরা পরাজয় নিয়ে ঘরে ফিরে। আগামী নির্বাচনে কেমন হবে তা নির্ভর করবে মেয়র হিসেবে আওয়ামীলীগ থেকে কে দলীয় মনোনয়ন পায় আর বিএনপি থেকে কে মনোনয়ন পায়। বা একাধিক মেয়র প্রার্থী হয় কি না তার উপর। বর্তমান কাউন্সিল রিটন চন্দ্র সাহা হাজীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ও আগামী নির্বাচনে আবারো কাউন্সিলর প্রার্থী রিটন চন্দ সাহা বলেন আমার পরিবারের সকল সদস্যরা মানষিক ভাবে সব সময় মানুষের সেবা করাটা পছন্দ করে। যেমন আমার বাবার ছোট বেলা থেকেই দেখি এলাকার মানুষের যে কোন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে যায়। যার কারণে এলাকার মানুষ বাবাকে দুবার কাউন্সিলর বানিয়েছে। আমরাও বাবার দেখা দেখায় মানুষের পাশে থাকা এবং মানুষের কল্যানে কাজ করা পছন্দ করি। বাবার অধিকাংশ কাজের সহযোগিতায় ছিলাম আমি। বাবা মারা যাওয়ার পর এলাকার মানুষও আমার বাবার আদর্শ ধরে রাখার জন্য উৎসাহ দিতেন। আমি তাদের উৎসাহ পেয়ে গত পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিল প্রার্থী হলে এলাকার ভোটাররা ভোট দিয়ে আমাকে কাউন্সিল বানিয়েছে। আমিও বাবার মতো এলাকার মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। আমার বাবার অসমাপ্ত যে কাজগুলো রয়েছে তা আমি প্রায় সমাপ্ত করেছি। এ ওয়ার্ডে গত ৫ বছরে প্রায় সাত কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। কিছু দিনের মধ্যে আরো দুকোটি টাকার উন্নয়ন কাজ শুরু হবে। আসলে প্রতিদিনেই কাজের চাহিদা বাড়ে। এজন্য শেষ কথা বা শেষ করা কোন ভাবেই সম্ভব না। যার কারণে দি পুরো কাজ কেউ শেষ করতে পারবে না। এর মধ্যে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন আমার নির্বাচনী ইসতিহার অনুযায়ী এ ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ীর রাস্তার উন্নয়ন করার হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আর এলাকায় কোন জলাবদ্ধতা নেই। নেই কোন সামাজিক কোন সমস্যা। গত ৫ বছরে এ ওয়ার্ডের একটি মানুষকেও হয়রানি করা হয়নি। তাদের সবাইকে সামাজিক ভাবে চেষ্ঠা করেছি সব সময় সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। আমি যতদিন বাছবো তত দিন এলাকার মনুষের পাশে থেকে কাজ করবো। আমার এ ওয়ার্ডে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াজন। একজন দানশীল ব্যক্তি ২০ শতাংশ জায়গা দিবে। আরো ১৩ শতাংশ জায়গা হলে ৩৩ শতাংশের মধ্যে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হবে। দেবন্দ সহাহার বাড়ী থেকে ওভার ব্রীজ হয়ে নদীর পাড় পার্যন্ত,বিশ্বরোড় চৌরাস্তা থেকে ওভার ব্রীজ পর্যন্ত, সোলেমান মজুমদারের বাড়ী থেকে প্রক্রীয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও আরো যে সকল সমস্যা রয়েছে তা পর্যাক্রমে সমাধান করা হবে। আসলে আমার যত সফলতা তা আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব ও পৌর আওযামীলীগের সভাপতি এবং পৌরসভার মেয়র আসম মাহবুব উল আলমের কারণে সম্ভব হয়েছে। তিনি আমার ওয়ার্ডে যত সমস্যা রয়েছে তা তিলে তিলে সমাধান করেছেন। আগামীতেও যত সমস্যা হবে তিনি সমাধান করবেন। লিপন সাহেব চোঁখ বন্ধ করে বলতে পারেন আমার ওয়ার্ডের মানুষের কি প্রয়োজন। আমি চাওয়ার আগ্ইে তিনি তা করা শুরু করেন । গত ৫ বছরে যে পরিমান সহযোগিতা পেয়েছি তা আমি আমৃত্যু মনে রাখবো। আশা করি আগামীতেও তার দুহাত আমার জন্য বিলিয়ে দিবেন। আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি। কাউন্সিলর মোহাম্মদ খায়রুল হাছান গাজী তরুন সমাজ সেবক ও এলাকার মানুষের বিপদ-আপদের বন্ধু এবং আগামী পৌরসভার নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিল প্রার্থী মোহাম্মদ খায়রুল হাছান গাজী বলেন,এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একটি পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে গেছে। বিষয়টা হলো বাবার পরে ছেলে ছেলে পরে কে? বুঝা মুসকিল। তাই এ জায়গা থেকে আমাদেকে বের হয়ে আসতে হবে। এলাকার মানুষ অতিষ্ট হয়ে গেছে। এ ওয়ার্ডে যে মানের কাউন্সিলর দরকার সে অনুযায়ী প্রার্থী না থাকার কারনে মন্দের হিসেব বেচে নেওয়া হয় বর্তমান কে। এ ওয়ার্ডে সকল কাজে চরম অশান্তি। সমাজের মধ্যে অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়ে গেছে। এলাকার প্রতিটি বাড়ীর সামনে জলাবদ্ধতা। এসকল সমস্যা সমাধান করতে হলে বাবা পরে ছেলে এর পরে কে বাদ দিয়ে যোগ্য লোককে কাউন্সিল বানানোর জন্য এলকাবাসী এক হয়েছে। আর এদের সাথে আমিও একমত হয়েছি। আমি দীর্ঘ বছরে ধরে এলাকার মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করে আসছি। এলাকার মানুষের যে কোন সমস্যায় আমি এগিয়ে গিয়েছি। যার কারণে এলাকার সচেতন মানুষ আমাকে কাউন্সিল প্রার্থীর জন্য উৎসাহ দিয়ে আসছে। আমি তাদের উৎসাহে উৎসাহিত হয়ে আগামী পৌরসভার নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিল প্রার্থী। হাছান গাজী বলেন আমি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ী ও বাসায় গিয়ে দেখা স্বাক্ষাত করেছি। সবাই পরিবর্তন চায় এবং যোগ্য লোককে কাউন্সিলর প্রার্থী দেখতে চায়। বাবার পরে ছেলে,ছেলের পরে কে? এ কথা পরিবর্তনের জন্য আগামী নির্বাচনে ভোটাররা নতুন করে কাউন্সিলর বানাবেন। এলাকায় আশানোরুপ উন্নয়ন না হওয়া ও সামাজিক নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বর্তমান কাউন্সিল কাছ থেকে মানুষ মুখ পিরিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, এ ওয়ার্ডের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুবই প্রয়োজন। আমি কাউন্সিল নির্বাচিত হলে আমার প্রথম উন্নয়ন কাজ হবে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি করা। এলাকার মানুুষের বিনোদন বা নারীদের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। আমি পর্যায়ক্রমে এদুুটি কাজ করবো। এ ছাড়াও এলাকার মধ্যে অসামাজিক কাজ বন্ধ, মাদক বিক্রেতাকে ভালো পথে পিরিয়ে আনবো। এলাকার মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সকল পদক্ষেব দেবো। সবশেষ কথা হলো এলাকার মানুষের কল্যানের জন্য যা দরকার আমি চেষ্ঠা করবো সবটুকু করার জন্য। এলাকার মানুষ পরিবর্তন চায়। আগামী নির্বাচনে জনগনের ভোটে পরিবর্তন হবে। বাবার পরে ছেলে ছেলের পরে কে? এটা পরিবর্তন হবে। কাউন্সিলর প্রার্থী আলাউদ্দিন চৌধুরী হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সবেক বানিজ্য সম্পাদক,চাঁদপুর জেলা যুব সংহতির যুগ্ম আহবায়ক ও হাজীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পাটির অন্যতম নে তা মোঃ আলাউদ্দিন চৌধুরী বলেন আমি দীর্ঘ বছর এলাকার মানুষের সুখে দুখে পাশে ছিলাম। পূর্বে আমি দুবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করি। এবারও মানুষের অনুরোধে ও উৎসাহে আগামী নির্বাচনের ৫ নং ওয়ার্ড থেকে আমি কাউন্সিলর প্রার্থী। তিনি বলেন এলকার সাধারণ মানুষের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। উক্ত সম্পর্কের প্রতি আমার দৃঢ় বিশ্বাস জনগন আমাকে নির্বাচিত করে তাদের প্রতি মহান দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দিবেন। শেয়ার করুন Admin Posted on September 19, 2020September 19, 2020 by admin