কচুয়া প্রতিনিধি ঃ
কচুয়া উপজেলার দারাশাহী-তুলপাই গ্রামে নিরীহ ৩টি পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। একই গ্রামের মৃত আহমদ আলী মিয়ার ছেলে অলি মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিরীহ ওই পরিবারটি খেয়ে না খেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
জানা গেছে, গত বছরের ২ডিসেম্বর দারাশাহী-তুলপাই গ্রামের নুরুজ্জামান, শাহ আলম ও রিক্সা চালক শামসুল হকের পরিবারের সদস্যদের সাথে অলি মিয়ার শিশুদের খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদ হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অলি মিয়া উল্টো গাছ কাটার অভিযোগ এনে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। যার নং ৬৩১/১৪।
এছাড়া পরবর্তীতে চলতি বছরের ২৪ ফেব্র“য়ারি অলি মিয়া তার পরিবারকে হুমকি-ধমকির অভিযোগ এনে চাঁদপুরের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নুরুজ্জামান গংদের বিরুদ্ধে ৭ধারায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। যার দ. নং ৭৯/১৫।
অভিযুক্ত নুরুজ্জামান, শাহআলম, শামসুল হক জানান, অলি মিয়া সর্ম্পকে আমাদের চাচাতো ভাই। সে তার স্ত্রী শাহানারা বেগমের উস্কানীতে কারণে অকারণে আমাদের উপর বিভিন্ন সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। অন্য দিকে অলি মিয়া আমাদের সম্পত্তি দখলের চেষ্টা ও গাছ লাগিয়ে জোর পূর্বক ভোগ দখল করে আসছে।
স্থানীয় মোড়ল খলিলুর রহমান, মোস্তফা কামাল ও নুুরুজ্জামানের বৃদ্ধা নুর ভানু (৯০) জানান, তুচ্ছ ঘটনায় অলি মিয়া নুরুজ্জামান গংদের হয়রানী করছে। শিশুদের খেলাধুলা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে মামলা করার মতো সে দিন কোন ঘটনা ঘটেনি।
কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী পাটওয়ারী জানান, শামসুল হক একজন নিরীহ সরল প্রকৃতিক লোক। সে রিক্সা চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে অলি মিয়ার আনিত অভিযোগটি সঠিক নয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শামসুদ্দিন মুন্সি জানান, অলি মিয়া ও নুরুজ্জামান গংদের পরিবারের তুচ্ছ ঘটনায় বিষয়ে মীমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গত ২৪ ফেব্র“য়ারি গন্যামান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠকের আয়োজন করি। গন্যমান্য ব্যাক্তিদের কথা অমান্য করে শালিস বৈঠকে অলি মিয়া উপস্থিত না হয়ে নুরুজ্জামান গংদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগ দায়ে করে।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হালিম জানান, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২ডিসেম্বর শামসুল হক আমাকে নিয়ে পাশ্ববর্র্তী আলীয়ারা গ্রামে যান। মারামারি ঘটনার সাথে শামসুল হকের পরিবার কোনভাবেই জড়িত নয়। তাদের পরিকল্পিতভাবে হয়রানীর উদ্দেশ্যে অলি মিয়া অভিযোগ করে বলেও হালিম মিয়া জানান। এদিকে অলি মিয়ার মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভোক্তভোগী পরিবারটি। অলি মিয়া ও তার স্ত্রী শাহানারা বেগমের বক্তব্য জানতে সরে জমিনে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।