চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥ প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে চাঁদপুরের কচুয়ার সাচারে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে বহনকৃত গাড়ি ভাংচুর, তার স্ত্রী ড. সিতারা আলমগীরের ভ্যানিটি ব্যাগ ও সোনার নেকলেছ ছিনতাইয়ের অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলন ও তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার বেবিসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় চাঁদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আতোয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীরের গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ এনে মিলন ও তার স্ত্রীসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ৬ মে মামলা করেন স্থানীয় কলিম উল্যাহ নামের এক ব্যক্তি। মামলা নাম্বর ৫৫/২০০৯। মামলায় ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। এ মামলার বাদী ও স্বাক্ষি উপস্থিত থেকে স্বাক্ষ্য দিলে আদালত মিলনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি ফরোয়ানা জারি করে। তবে মামলার অন্য ১২জন উপস্থিত থাকায় তাদেরকে জামিন দেয়া হয়। মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০০৩ সালে ১৬ ও ১৭ অক্টোবর মিলন ও তার স্ত্রী ভ্যানিটি ব্যাগ হতে টাকা ছিনতাই এবং গাড়ি ভাংচুর ও স্বর্ণের নেকলেছ ছিনতাই করে।
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের আদালত ও বিভিন্ন থানায় মোট ৩১টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি ২০১০ সালের ১৪ মার্চ গ্রেফতার হয়। দেড় বছর কারাবাস শেষে ২০১১ সালের জুন মাসে তিনি কুমিল্লা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
মিলনের আইনজীবি অ্যড. কামরুল ইসলাম ও মাইনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার ৪টি মামলার হাজিরা দেয়ার কথা ছিল। তবে তিনি বিদেশে অবস্থান করায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেন নি। একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও অপর তিনটি জামিন দিয়েছে আদালত।