হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি, (২৪.০৪.২০২৩ইং)
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ মাষ্টার পাড়া এলাকায় এক প্রবাসীর নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের ফাঁকা গর্ত থেকে কোরআনে হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছার (১৭) এর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পরে হাজীগঞ্জ পুলিশের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়।
(২৪ এপ্রিল) সোমবার সকালে হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছার লাশটি ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
রোববার (২৩ এপ্রিল) রাতে লিফটের গর্তে প্রবাসী আজিজুর রহমানের ভবনের দারোয়ান ছাবের আহাম্মদ ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম মৃতদেহ দেখতে পায়।
দারোয়ান ছাবের আহাম্মদ ও তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম বলেন, নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের মালামাল দেখার জন্য ২য় তলায় যান। মালামাল দেখে আসার সময় নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের নিচ তলা লিফটের ফাঁকা গর্তে টর্চ লাইট মারলে লাশ দেখতে পায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও থানায় গিয়ে পুলিশকে অবহিত করেন তারা।
হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছারের বাবা মোস্তফা কামাল জানান, আমার ছেলে কোরআনে হাফেজ। রমজানের মাসে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় তারাবির নামাজ পড়ানো শেষে ঈদ করতে বাসায় ফেরেন। চাঁদ রাত অর্থাৎ শুক্রবার দিবাগত রাতে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়েন। তারপর তার বাসায় ফিরেনি। নিখোঁজের দুইদিন পর তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা মকিমাবাদ মাস্টার পাড়ায় বাসা ভাড়া থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ী চাঁদপুর সদর উপজেলার পুরান বাজার এলাকা।
হাফেজ আব্দুল্লাহ আল কাউছারের মা পেয়ারা বেগম বলেন, গত কয়েক মাস আগে তার ছেলে একটি মাদ্রাসার পোস্টার ছিঁড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েক কিশোরের সাথে হট্টগোল হয়। তাকে মারধর করতে বাসায় পর্যন্ত গিয়েছে ওই কিশোররা। লাশের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার দে ও হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ জোবায়ের সৈয়দ।
তারা জানান, মৃতদেহের মুখের বাম পাশে ও মাথার বাম পাশে থেতলানো এবং মাথার পিছনের অংশে ফাটা জখম রয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানাযাবে এটি পরিকল্পিত হত্যা কিনা। এবং দ্রুত উদঘাটন করে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। হাজীগঞ্জ থানায় এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ৬/৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।