ইউক্রেনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। হামলার দ্বিতীয় দিন শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানী কিয়েভের চারদিক ঘিরে ফেলেছেন রুশ সেনারা। এ সময় মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে গোটা কিয়েভ।
শনিবার ভোরে কিয়েভের একটি সেনাঘাঁটিতে রাশিয়া হামলা শুরু করেছে।
বেসামরিক নাগরিক ও বিশ্বব্যাপী ইউক্রেনীয় প্রবাসী সদস্যরা এ সংকট মুহূর্তে সৈন্য এবং একে অপরকে সাহায্যে এগিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ।
গত দুই দিনে, কিয়েভ-ভিত্তিক অলাভজনক কাম ব্যাক অ্যালাইভের মত সংস্থাগুলোতে অনুদানের জমা দিয়েছে অনেকই৷
সংস্থাটি ইউক্রেনের সামরিক কর্মীদের থার্মাল ইমেজার, নাইট ভিশন ডিভাইস, মোবাইল নজরদারি সিস্টেম, মনুষ্যবিহীন বায়বীয় যান, মাইন ক্লিয়ারেন্স কিট এবং অন্যান্য উচ্চ-নির্ভুল সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।
গ্রুপের ফেসবুক পেজ থেকে জানা যায়, তারা একদিনে ছয় লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে।
ইউক্রেনের ন্যাশনাল ব্যাংক বৃহস্পতিবার একটি অনুদান অ্যাকাউন্ট স্থাপন করেছে, যেখানে মানুষ ইউক্রেনের সৈন্যদের সহায়তার জন্য অর্থ দান করতে পারে। অ্যাকাউন্টে অনেক টাকা জমা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
ইউক্রেনের শহরগুলোতে, আহত সৈন্যের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকরাও স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে শুরু করেছেন। মাকসিম খোদুশকো পূর্ব দোনেস্ক অঞ্চলের ক্রামতোর্স্কের একজন মার্কেটিং ম্যানেজার, শুক্রবার সকালে রক্ত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আজকে অনেক মানুষ রক্ত দেওয়ার জন্য হাসপাতলের বাইরে অবস্থান করছেন। রক্ত দেওয়ার সবসময় গুরুত্বপূর্ণ, রাশিয়া যখন আক্রমণ করছে, তখন এটি আমাদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ।
রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণের স্থান হিসেবে দোনেস্ক ও লুহানস্কের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলোতে সর্বাধিক মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। এখানে ইউক্রেনীয় বাহিনী এবং রাশিয়ান-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ২০১৪ সাল থেকে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছেন। যারা রাশিয়ার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন তাদের অনুমান হলো— পূর্ব ইউক্রেনকে আক্রমণ চালানোর জন্য সবচেয়ে সহজ অবস্থানে পরিণত করতে পারে রাশিয়া। মস্কো ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে।