সুজন আহম্মেদ,চাঁদপুর:
: ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর, আর সেই চাঁদপুরে বড় স্টেশন ও হরিনা ঘাট, আখন ঘাট, হাইমচর চরভৈরবীসহ বিভিন্ন মাছের আড়তে গিয়ে দেখা যায় বিগত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় ইলিশের আমদানি বেড়েছে। তবে বেশিরভাগ ইলিশ সন্দ্বীপ-হাতিয়া সহ বিভিন্ন এলাকার। চাঁদপুর হরিনা আড়ৎদার রহমান হোসেন আখন বলেন, গত ১ সপ্তাহ ধরেই মাছের আমদানি বাড়তির দিকে। এতে করে আড়ত সংশ্লিষ্ট জেলে, ঘাটের শ্রমিক, ও ব্যবসায়ীদের মাঝে। এছাড়াও চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল বলেন ,গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে বড়স্টেশন মাছের আমদানি হয় প্রায় ৮শ’ মন। আর চলতি সপ্তাহের গত দু’ দিন মাছের আমদানি বেড়ে প্রায় এক হাজার মন উন্নীত হয়। এসব ইলিশের বেশিরভাগই সাগরের মাছ। চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনার ইলিশের আমদানি কম। ইলিশের সবচে বড় বাজার চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে বুধবার ও প্রায় ৮/৯শ’ মন ইলিশ আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত ইলিশের মধ্যে মাত্র একশ’ মন ইলিশ চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার। আর বাকী সবই হাতিয়া, সন্দ্বিপসহ সাগর অঞ্চলের মাছ। মাছের আমদানি বাড়ায় দাম তেমন কমেনি। এই ব্যাপারে ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী রাকিবুল হাসান জানান ৫০০-৭০০ শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ছিল প্রতি মন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে বেচাকেনা কিছুটা কম। চাঁদপুর বড়স্টেশনের মৎস্য ব্যবসায়ী সাগর হোসেন বলেন, চলতি সপ্তাহে বাজারে মাছের আমদানি কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে গড়ে প্রতিদিন ৯শ’ থেকে হাজার মন ইলিশ আমদানি হচ্ছে। এসব মাছের বেশিরভাগই হাতিয়া, সন্দ্বিপ অঞ্চলের মাছ। মাঝে মধ্যে আবার আমদানি কমেও যাচ্ছে। আশা করি, সামনে ইলিশের আমদানি আরও বাড়বে। তখন দামও আরও কমবে। চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, এবার বৃষ্টি দেরিতে শুরু হয়েছে। ইলিশ মাইগ্রেশনের ক্ষেত্রে বৃষ্টি একটা বড় ফেক্টর। নদীতে পানি প্রবাহ কম। এসব কারণে মাছ মাইগ্রেট করছে না। এ কারণে ওইসব এলাকায় ইলিশ ধরতে পারছেন না জেলেরা। আশা করি, বিগত কয়েক দিন পরে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ আসবে।