আমার কণ্ঠ রিপোর্ট
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত যে কটা পৌরসভার নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বরের শেষ হওয়ার কথা তার মধ্যে হাজীগঞ্জ পৌরসভা রয়েছে। ইতি মধ্যে নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন করার জন্য একটি রোড় ম্যাপ তৈরি করেছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে উপজেলা নির্বাচন কমিশন নির্বচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উভয় রাজনীতির মধ্যে রয়েছ কৌতুহল। আগামীতে দলীয় মনোনয়ন কে পাবেন। বর্তমান না নতুন। এরই মধ্যে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনের জন্য দৌড়ঝাপ দেওয়ার শুরু করেছেন প্রায় দুহালি সম্ভব্য প্রার্থী। আর বিএনপি-জাময়াত থেকে মাত্র দুজনের নাম শুনা গেলেও দলীয় প্রার্থী হবেন একজন । এরই মধ্যে উভয় প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়নের জন্য ঢাকা-চাঁদপুরসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। তবে দলীয় প্রতীক ফেলই যে প্রার্থীর জন্য বড়শক্তি তা তারা বুঝেন। নৌকা-ধানের শীষের জন্য মরিয়া।
নিয়ম মোতাবেক হাজীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর হলে এ মাসের শেষের নিকে নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর সাথে সাথে দলীয় প্রতীক কে পাচ্ছেন তা পরিস্কার হয়ে যাবে। অন্য বছরের তুলনায় এ বারের পৌরসভার নির্বাচন দলীয় কোন্দলের কারণে একটু ব্যতিক্রম হবে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তুষের আগুনের মতো জ্বলছে। যারা দলের জন্য রক্ত দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এবং রাজপথে আন্দোলন করেছে তারা সুবিধার বাহিরে আর অনুপ্রবেশকারিরা সুবিধা নিয়ে রাজার হলে রাস্তা দিয়ে চলে। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের নেতারা বিএনপি-জামায়াতকে বেশি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তৃনমুলের নেতাদের।
গত এক মাসে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে অনুসন্ধানে গেলে তৃনমুলের একাধিক নেতাকর্মীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন আমরা তৃনমুলে আন্দোলন সংগ্রাম করে আমাদের প্রিয় নেত্রীকে নির্বচানের মধ্যমে ক্ষমতায় বসিয়েছি। আর মধু খাচ্ছো অনুপ্রবেশকারি ও সুবিধাবাধিরা। আওয়ামীলীগের নেতারা আমাদেরকে বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াতকে হাতে রেখে সকল কাজ কর্ম করে। তাদেরকে সকল সুবিধা হওয়া হচ্ছে। আসাদেরকে এ নেতার লোক আর ঐ নেতার লোক বলে আখ্যা দিয়ে পিছনে রাখে। ওরাই আমাদের দলের নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি করে। তাই তারা চান যে নেতা তৃনমুল ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের কে নিয়ে পৌরসভার কাজ করবে তার পক্ষে আমাদের সমর্থন থাকবে।
আসন্ন হাজীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর সংখ্যা জন হলেও দলীয় মনোনয়ন যেই পাবে তিনি হবেন চুড়ান্ত প্রার্থী। হাজীগঞ্জ পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন। তিনি গত ৫ বছরে পৌর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। অসম্ভবকে সম্ভব করে পৌরবাসীর নজর কেড়েছেন। ছাড়াও নতুন করে আরো প্রার্থী হবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রয় কার্যনিবাহী কমিটির অন্যতম সদস্য, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রব মিয়ার বড় ছেলে মোঃ খালেদুর রব মিঠু,জেলা আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয় সম্পাদক ও হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আহসান হাবিব অরুন,উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ,পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পদক সৈয়দ আহমেদ খসরু, পৌর যুবলীগের আহবায়ক ও হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও হাজীগঞ্জ পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার।
অপরদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির থেকে উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক দুবারের মেয়র আলহাজ্ব আবদুল মান্নান খান বাচ্চু ও সাবেক ছাত্র নেতা ও হাজীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য উপদেষ্টা পরিষদ মোঃ হেলাল উদ্দিন মজুমদার। এ দুজনেই দলীয় মনোনয়ন পেতে হাই কমান্ডে যোগাযোগসহ স্থানীয় ভাবে ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আওয়ামীলীগ- বিএনপির চুড়ান্ত প্রার্থীর জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে আরো কয়েক দিন।