চাঁদপুর হাইমচরে ২নং আলগী ইউনিয়নের ছোটলক্ষীপুর গ্রামের প্রবাসী আঃ মান্নান গাজীর স্ত্রী মিশু সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ নজির দেওয়ানের নামে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মিশু মৃত্যুর ভেড়াজালে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মান্নান গাজীর আত্মীয়দের ওপর মৃত্যু দায় চাপাচ্ছেন তার পরিবার।
প্রসঙ্গত,২ মার্চ প্রবাসী স্ত্রী মিশু নিজ তালাবদ্ধ ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় প্রশাসন ও স্থানীয় ইউপি সদস্য নজির আহম্মদ দেওয়ানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক দিয়ে মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নজির আহম্মদ দেওয়ান জানান, গত ২ মার্চ সকালে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ৮নং ইউপি সদস্য এবং ২/৩ গ্রাম পুলিশ পরিষদে কথা বলতে ছিলাম। তাৎক্ষনিক শাহজান নামক এক জন লোক এসে আমাদেরকে জানায় প্রবাসী মান্নান গাজীর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে। সংবাদ পেয়ে আমি ও ২ জন গ্রাম পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই।
আমার যাওয়ার পর পরই মিশুর মামা ও তার মা সেখানে উপস্থিত হয়। কিছুক্ষণ পরই পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত হয়ে কার্যক্রম চালায়। আমি স্থানীয় ইউপি সদস্য বলে আমাকে পুলিশের সাথে লাশের কাছে নিয়ে যায়। আমি সেখানে গেলাম কেন এটা কি আমার অপরাধ?। মিশুর মামা জদু দেওয়ান ও ফারুক দেওয়ানসহ তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজন আমাকে নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া (ফেইসবুক) মাধ্যমে আমার ব্যাপারের নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে মানহানি করেছে আমি প্রশাসনের কাছে তাদের বিচার দাবি করছি। খুব সহসায় আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন দুলাল জানান,২ মার্চ সকালে ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার নজির দেওয়ান ও ৮নং ইউপি সদস্য এবং ২/৩ গ্রাম পুলিশ পরিষদে কথা বলতে ছিলাম। কিছুক্ষণ পর শাহজান নামক এক জন লোক এসে আমাদেরকে জানায় মান্নান গাজীর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে নজির দেওয়ান ও গ্রাম পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠাই এবং তাদের নিদের্শে দেওয়া আছে যাতে কেউ ঘরের ভিতর ঢুকে লাশ স্পর্শ না করে। আর হাইমচর থানা পুলিশের কাজে সহয়তা করার জন্য বলি। যদি কেউ আমার পরিষদের সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার বা ষড়যন্ত্র করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনুগ ব্যবস্থা নিব।