হাইমচর উপজেলার ৩ নং দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের তেলীর মোর মেঘনা নদী সংলগ্ন সড়কের উপর ১৭ মার্চ বুধবার সন্ধা প্রায় সাড়ে ৬ টায় পূর্ব শত্রুতার জেরধরে প্রতি পক্ষের উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে সরজমিনে গিয়ে জানাযায়,৫নং হাইমচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুলহাস সরকার ও আব্দুল্লাহ হক মোল্লার তাদের কর্মী সমর্থকগন যৌথভাবে ও একযোগে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সরকারের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনা স্থলে উভয় পক্ষের প্রায় ১০/১২ জন গুরুতর আহত হয়।
এঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ১৭ মার্চ গভীর রাতে ৫ নং হাইমচর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড শাহেবগঞ্জ গ্রামে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাৎ সরকারের কর্মী সমর্থকগনের বসত বাড়িতে বর্বরোচিত হামলা চালায়। হামলায় একই পরিবারের ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এঘটনায় অনুসন্ধান করে জানা যায়, ১৭ মার্চ বুধবার দিবাগত গভীর রাতে বর্বরোচিত এ পৈচাসিক হামলার ঘটনাটি ঘটে। এবং হামলায় আহতদের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে, সেখানে আহতদের শারীরিক অবস্থার আশংকা দেখা দিলে, কর্তব্যরত চিকিৎসকগন আহতদের চাঁদপুর সদর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
এরপর আহতদের স্বজনরা তাদের রোগীদের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখলে তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কান্নায় ভেংগে পরেন।
এদিকে এঘটনার বিবরণে বিস্তারিত জানা যায়,৫ নং হাইমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জুলহাস সরকার ও আব্দুল হক মোল্লা গংদের হামলার ঘটনায়, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাৎ সরকারের কর্মী সমর্থকগন সহ আহতদের স্বজনরা হাইমচর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানাযায়। এদিকে হামলাকারী সন্ত্রাসী স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ জুলহাস সরকার ও আবদুল্লা হক মোল্লা,রেহান গোলদার গং বহিরাগত প্রায় ১৮/২০ জন নিয়ে একই এলাকার প্রতিবেশী শাকিল গোলদার (৩৬) পিতা আবুছায়েদ গোলদার, আমজাদ বয়াতি,( ৪৫) পিতা মৃত্যু হাবিব বয়তি, নাহিদ (২০)শাকিল গোলদার,শাহাজান গাজী সহ প্রায় ১০/ ১৫ জন গুরুত্ব আহত হয়েছে।
দুর্বৃত্বতরা সতঘরে দেশীয় অস্রসস্র দিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে বসতঘরের টিনের বেরা, দরজা, জানালা ও খাটপালং এবং স্টিলের আলমারি সহ ফ্রিজ ও মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
অপরদিকে হামলায় গুরুতর আহত শাকিল আমজাদ বয়াতি, শাহজাহান গাজী বলেন, হামলার তান্ডবে আমারা সর্বস্ব হারিয়েছি। শাকিল ও তার মা বলে সন্ত্রাসীরা আমার ঘরের সব কিছু ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে, এদিকে হামলাকারীদের সংবাদ পেয়ে স্হানীয় এলাকাবাসী প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। হামলায় ক্ষতিগ্রস্হ পরিবার এলাকাবাসী জানান সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার সময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে, এঘটনার বিষয়ে বেশী বারাবাড়ি করলে অথবা বিচার প্রার্থী হয়ে কাউকে জানালে, সবকাটাকে জেন্ত মেরে ফেলবো। সন্ত্রাসীদের লুটপাট ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হবে বলে খতিগ্রস্হ পরিবারটি জানায়।
এই ঘটনাটির খবর পেয়ে হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুব মোল্লার নির্দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নিবেন বলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আহতদের স্বজনদের আশ্বস্ত করেন।