কুয়াকাটা খালে এক বছর আগে সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে কোন কাজে আসছে না। ইতোমধ্যে সেতুটির দুই পাশের মাটির রাস্তা খুড়ে রাখার ফলে পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। কেবলমাত্র ঠিকাদারের অবহেলা এবং এলজিইডির উদাসীনতায় সেতুটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও মানুষজন চলাচলের উপযোগী হয়নি।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ২ কোটি ৫৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৬ মিটার দীর্ঘ গার্ডার ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এক বছরের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও গত প্রায় তিন বছরেও চলাচলের উপযোগী করা যায়নি। কুয়াকাটা পৌরসভার ৪, ২ ও ১নং ওয়ার্ডের বয়স্ক নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পটুয়াখালীর মেসার্স আবুল কালাম আজাদ নামের প্রভাবশালী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতায় এলজিইডির উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোহর আলী তার অসহায়ত্বের কথা স্বীকার করেছেন।
গার্ডার ব্রিজ সংলগ্ন বাসিন্দা কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গাজী ইউসুফ আক্ষেপ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে সেতু নির্মাণ হলেও দুই পাশের সড়ক খুড়ে রাখার ফলে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরে চলাচল করতে হয়।’
একই এলাকার ভুক্তভোগী সামাজিক সংগঠক হাসনুল ইকবাল জানান, কুয়াকাটা খালের ওপর পৌরসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর কাজ মাঝপথে ফেলে রাখায় হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।
এ বিষয় ঠিকাদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়কের মাটি কাটা সম্পন্ন হলেও প্রয়োজনীয় বালু না পাওয়ায় কাজটি সম্পন্ন করা যায়নি।