মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার করোনাভাইরাস নিয়ে ব্যবসা করতে চায়। এই কোভিডকে নিয়ে তারা প্রথম থেকেই ব্যবসা শুরু করেছে। তাদের উপদেষ্টা সাহেবের কথায় অগ্রিম টাকা দিয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি টিকা আনবে। এখন দেড় কোটি টিকাও পায়নি। এটা তারা করছে, জেনেশুনেই।
করোনাভাইরাস নিয়ে সরকার প্রথম থেকেই ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
রাশিয়া ও চীনের টিকার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, দেখুন কীরকম কাজ করছে। কিছু জন্তু আছে পানি খায় ঘোলা করে খায়। চীন যখন এসে বলল যে, আমার সাথে চুক্তি করো, তারা করল না। রাশিয়া এসে বলল যে, আমি দেব, চুক্তি করো। করল না। এখন চীন আর রাশিয়ার কাছে গিয়ে ধর্না দিচ্ছে। চীন বলছে, মিথ্যা কথা বলেন কেন? আপনাদের সঙ্গে তো কোনো চুক্তিই হয়নি। এটাকে কী বলবেন?
খালেদা জিয়াকে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে অভিহিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের কাছে অনুপ্রেরণা। তিনি সফল হয়েছেন এই দেশ থেকে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে। এটা সফলতা। সে জন্য এই সরকার জানে খালেদা জিয়া হচ্ছেন সেই হ্যামিলনের বংশীবাদক। যিনি বাইরে বেরুলে বাঁশি বাজাতে শুরু করবেন, লাখ লাখ মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে। দ্যাটস দ্য রিয়েলিটি। এজন্য তাকে তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রেখেছে, এখনও তিনি গৃহবন্দি।
২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, একটা বাজেট দিয়েছে। আরে বাবা কী গদ গদ। ব্যবসায়ীদের জন্য এটা খুবই ভালো বাজেট হয়েছে। ৬ কোটি মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে। তাদের জন্য তো কিচ্ছু করেনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বার বার করে বলেছিলাম যে, ১৫ হাজার টাকা করে তিন মাসের জন্য এই মানুষগুলোকে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কত টাকা লাগ তো। কেন দিলেন না? অর্থনীতিকে যদি আপনি সচল করতে চান মানুষের পকেটে টাকা আসতে হবে।
তিনি বলেন, কাকে টাকা দিচ্ছেন? তেলামাথায় তেল দিচ্ছেন। ওই বড় বড় শিল্পপতি, গার্মেন্টস মালিককে দিচ্ছেন, যারা আপনাদের সঙ্গে জড়িত তাদের দিচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা জাতীয় ঐক্যের জন্য কাজ করছি। সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে একখানে করে, জোট না হোক আমরা যুগপৎ আন্দোলন করে বেরিয়ে আসতে পারি কিনা সেই চেষ্টা আমরা করছি।