বর্তমানে সর্বনাশের সবকিছু হারানোর অপর নাম মাদক। নিষিদ্ধ মাদকের বিষে হারিয়ে যাচ্ছে পরিবার জাতি ও দেশের সম্ভাবনাময় তরুনপ্রজন্ম। হারিয়ে যাচ্ছে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নীরব ঘাতক মাদকে। যে যুবশক্তি হতো পরিবারের সমাজের আর্শীবাদ তারাই আজ পরিবারের সমাজের বোঝা জাতির অভিশাপ।
পরিবারের কড়া নজরদারী না থাকায়, অনুকূল পরিবেশে চলাফেরা না করা ,বন্ধুবান্ধব নির্বাচনে ভুল করাই মূলত মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ার অন্যতম কারণ। এর ফলে মাদকাসক্ত ছেলে-মেয়ে তার পড়াশুনায় সময় ব্যয় না করে ইয়াবা,সীসা,হেরোইন,ফেনসিডিল, প্যাথোড্রিন, মদ, বিয়ার,কোকেন, গাজাঁর সন্ধানে ব্যস্ত থাকে। নিজেকে গড়ার মূল্যবান সময়ে এসব নিষিদ্ধ দ্রব্যের সংগ্রেহের পিছনে ব্যয় করতে গিয়ে পরিবারের স্বর্ণালংকার চুরি, বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনের মোবাইল চুরি, বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন জিনিস চুরি করে মাদকের টাকা যোগাড় করার জন্য। এতে পরিবারের অবক্ষয় শান্তি-শৃংখলা নষ্টের পাশাপাশি সমাজেও রাহাজানি ছিনতাই সন্ত্রাসী কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক অবক্ষয়ের অর্থনেতিক পঙ্গুত্বের এটি ্অন্যতম কারন।
এই মাদকের ফলে স্ট্রোক হাটঅ্যাটাক, লিভার, কিডনি, ফুসফুসসহ শরীরের সব অঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে। মানসিক শারীরিক পারিবারিক অর্থনৈতিক সামাজিক সকল ক্ষতিই নেশার কারনে হয়। এই ক্ষতিই পরিবারকে ধ্বংস করে ,সেই সাথে ধ্বংস করে দেশের ভবিষ্যৎ। তাই এর থেকে মুক্তি সকলের কাম্য।
আর এজন্য প্রথমে প্রয়োজন পারিবারিক তদারকি কড়া নজরদারি। তারপরে সবচেয়ে যেটা প্রয়োজন সেটা হল মাদকের অবাধ বিস্তার নিয়ন্ত্রন করা। আইনের মাধ্যমে এর অবাধ বিক্রি সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। সেই সাথে নিষিদ্ধ করতে হবে একটি নিদিষ্ট বয়সের তরন-তরুনীদের মাদক সেবন।
আমরা অনুধাবন করতে পারি আন্ডারগ্রাউন্ডের কিছু রাজনেতিক নেতাদের আশ্রয়-পশ্রয়ে, পুলিশ প্রশাসনের লোভী কিছু কর্মকর্তার নীরব ভূমিকার কারণে মাদক আজ সমাজের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে।
আমাদের জোর দাবি হল সরকারের কঠোর নজরদারি ও বিদ্যমান আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে এর কুফল সর্ম্পকে প্রিন্ট মিডিয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া প্রচার করে স্কুলের পাঠ্যসূচিতে অন্তভূক্তির মাধ্যমে যুবশক্তিকে মাদকের মরণ ছোবল থেকে রক্ষা করে পরিবারকে সমাজকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।