ইমতিয়াজ সিদ্দিকী তোহা : সমস্যার বেড়া জালে আবদ্ধ হয়ে ক্রমান্বয়ে পিছিয়ে পড়ছে চাঁদপুর জেলার একমাত্র সরকারী পলিটেকনিক ইনিষ্টিটিউট । দীর্ঘ প্রায় এক দশকেও পূর্ণতা পায়নি এ প্রতিষ্ঠানটি। নানা সমস্যা আর শিক্ষক সংকটে প্রতিনিয়তই পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম।
জানা যায়, ৩৮ জন শিক্ষকের জায়গায় নিয়মিত ৮ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে শ্রেণি পাঠদান। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নিয়মিত ক্লাস ও টিউটোরিয়াল পরীক্ষা না হওয়ায় পিছিয়ে পড়ছে তারা।
সূত্রে আরো জানা যায়, ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স, কন্সট্রাকশন ও রিফ্রেজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশন এ ৪টি বিষয় চালু হয়। বর্তমানে এই ৪ ডিপার্টমেন্টে প্রায় ১৫ শ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। প্রতিষ্ঠানের ৩৮ জন শিক্ষকের জায়গায় নিয়মিত ৮ জন শিক্ষক দিয়ে আর কিছু দিন আগে প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া খন্ডকালীন ১২জন শিক্ষকসহ মোট ২০ জন শিক্ষক দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান কার্যক্রম।
এছাড়াও প্রশাসনিক কাজে কর্মরত রয়েছেন আরও ৪ কর্মকর্তা। জনবল বলতে ২৪ জনেই সীমাবদ্ধ। যা বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের জন্য অতি নগণ্য বলেই মনে হয়। এর বিপরীতে নিয়মিত শ্রেণি পাঠদান না হওয়ায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছেন কারিগরী শিক্ষার্থীরা।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী রুবেল, সাজ্জাদ, সাহেদ বলেন, যন্ত্রপাতি ও শিক্ষক সংকটের কারণে নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। ফলে আমরা অনেক পিছিয়ে পড়ছি। আর এ কারণেই দেশের অন্যান্য ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ভালো করতে পারব কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি।
উত্তম নামের অপর শিক্ষার্থী জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানের কোনো হোস্টেল নেই। ম্যাচে থাকায় আমাদের খরচও অনেক। এছাড়াও প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনের ইন্সট্রাকটর শিক্ষার্থীদের প্রাণের স্পন্দন প্রকৌশলী উত্তম কুমার দেবনাথ জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে নিয়মিত প্রাকটিক্যাল ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না। তবুও আমরা শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক সংকট ও হোস্টেল সমস্যা দ্রুত নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীরাই বহিরাগত। বাকিরা চাঁদপুরের শিক্ষার্থী। এ ব্যাপারে শিক্ষক সংকট নিরসন করে শিক্ষার মান উন্নয়নসহ দ্রুত হোস্টেল স্থাপনের কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে একাধিকবার অবগত করা হয়েছে।