কচুয়া প্রতিনিধি
কচুয়া উপজেলার কাদলা গ্রামের ইয়াকুব আলী প্রধানীয়ার পুত্র ও রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র কিশোর রিয়াদ প্রধানীয়া (১৪) আত্মহত্যার ঘটনায় এলাকায় নানান গুঞ্জন উঠেছে। কিশোর রিয়াদের লাশ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। সে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার টোরাগড় গ্রামের তার নানার বাড়িতে আত্মহত্যা করে বলে তার পরিবার জানায়। সে পৌরসভা সাত নং ওয়ার্ডের মিজি বাড়ির মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের নাতি।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২ মাস পূর্বে কচুয়া উপজেলার দেবীপুর গ্রামের মোঃ ওয়াসিমের ছেলে সজিব হোসেন (৯) তার নানার বাড়ি কাদলা গ্রামে গুলাইল নিয়ে খেলতে গিয়ে অসাবধানতার কারনে রিয়াদের ব্যবহৃত গুলাইলে চোখে পড়ে আহত হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে চোখে আঘাত প্রাপ্ত সজিবের চিকিৎসার জন্য রিয়াদের পরিবার থেকে আর্থিক সাহায্যের ব্যবস্থা করেন। রিয়াদের পিতা ইয়াকুব আলী প্রধানীয়ার অভিযোগ, প্রথম দফায় ৩৫ হাজার টাকাসহ কয়েক দফায় প্রায় লক্ষাধিক টাকা সজিবের চিকিৎসার নামে তার পরিবারকে দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, সর্বশেষ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে বাকি টাকা পরিশোধ করা হয়। রিয়াদ তার গরীবি বাবার অসহায়েত্বের এ অবস্থা দেখে তার নানার বাড়ি হাজীগঞ্জের টোরাগর গ্রামে আশ্রয় নেয়। স্থানীয় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে কিশোর বয়সে রিয়াদ কি আত্মহত্যা করেছে? নাকি তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। এ প্রশ্ন এখন সচেতন মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে।
একটি সূত্রে জানা যায়, রিয়াদের মামা আব্দুর রহিমসহ আত্মীয়-স্বজনরা তাকে মামলার বিষয়ে বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলা সে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়।
হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ থানার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আফজাল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে পুরো তথ্য জানা নেই তার। এরপরই তিনি থানার এস আই আল আমিনকে মেবাইল ফোনটি ধরিয়ে দেন। এস আই আল আমিন“হাজীগঞ্জ কন্ঠ”কে বলেন, রিয়াদ ছেলেটির নামে কচুয়া থানা একটি মামলা রয়েছে। সে মামলা তার পিতা-মাতা জেলও খেটেছে। সে পলাতক থাকায় পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি।আটক এড়িয়ে চলা তার আত্মীয়-স্বজনরা বিভিন্ন ধরনের কথা বার্তা বলা সে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে।