কচুয়া প্রতিনিধি
কচুয়া উপজেলার রহিমানগর উত্তর বাজারে চাঁদার দাবিতে মেসার্স শাওন ট্রেডাসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সোমবার দুপুরে রহিমানগর উত্তর বাজারে নাউলা গ্রামের ব্যবসায়ী মোঃ সুমন মিয়ার দোকানে তালা দেয়ার এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে ,কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের নাউলা গ্রামের মৃত আলী আশরাফ মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া গংদের সাথে ১১০নং নাউলা মৌজার ২০৪নং খতিয়ানে ৫৬৪ দাগে বর্তমানে ১০৫২ দাগে মোট ২১ শতাংশ ভিটা বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে একই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জুলফিকার আলী মন্টু, কামরুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন ও মোশারফ হোসেন গংদের সাথে দীর্ঘ দিন বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
মৃত আলী আশরাফ মিয়ার পুত্র ভ্ক্তুভোগী মোঃ সুমন মিয়া জানান, বিরোধকৃত সম্পত্তির উপর মামলায় বিজ্ঞ আদালতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তিনি আরও জানান, গত শনিবার (২১ ফেব্র“য়ারী) দুপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষ জুলফিকার আলী মন্টু নেতৃত্বে তার অপর ভাইয়েরা আমি মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আমাদের বাড়ি ঘরে হামলা করে তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে এবং আমাদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ৮ লক্ষ টাকা মোটা অংক দাবি করে। এ ঘটনায় কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে প্রেক্ষিতে কচুয়া থানা পুলিশের সহায়তা ঘরের তালা খুলে দেয়া হয় বলেও তিনি জানান। এছাড়া গত (২৩ ফেব্র“য়ারী) সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে প্রতিপক্ষ জুলফিকার আলী মন্টুর ভাই কামরুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন ও মোশারফ হোসেন গংরা মোটা অংকের টাকা বাদী করে রহিমানগর উত্তর বাজারস্থ সুমন মিয়ার মালিকানাধীন শাওন ট্রেডার্সে এসে তালা ঝুলিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয়। এদিকে জুলফিকার আলী মন্টু গংদের নির্যাতনের ভয়ে সুমন গংরা বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন। অপরদিকে সুমন মিয়া আরও জানান, ২০১৪ইং সালে ১৮ অক্টোবর হুমকি-ধমকির বিষয়ে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় একটি জিডি দায়ের করেন। যাহার নং- ৬৩৩।
জুলফিকার আলী মন্টু গংদের হাত থেকে রক্ষা ও সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার ন্যায় বিচার পেতে স্থানীয় প্রশাসনের হন্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। এদিকে অভিযুক্ত জুলফিকার আলী মন্টুর বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।