কোভিড পরিস্থিতিতে অনলাইনেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। আর সেখানেই শিক্ষকের যৌন হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন শত শত ছাত্রী। এরপর মঙ্গলবার (২৫ মে) ৫৯ বছর বয়সী ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠানো হয়েছে। স্কুল থেকেও বরখাস্ত হয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের চেন্নাইয়ে।
জানা গেছে, চেন্নাইয়ের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় বিদ্যালয় শেশাদ্রি বালা বিদ্যা ভবন স্কুলের বাণিজ্য শাখার শিক্ষক ছিলেন তিনি। ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থী এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেন। তারপরই সেই অভিযোগটি ভাইরাল হয়ে যায়। একের পর এক ছাত্রী সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেন। এরপর সেই স্কুলের এক হাজার শিক্ষার্থী স্কুল কর্তৃপক্ষকে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানান।
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করেছে পুলিশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেন্নাইয়ের পুলিশ কমিশনার শঙ্কর জয়সওয়াল।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ১১ এবং ১২ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাছাড়া ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪(এ) এবং ৫০৯ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এরপর প্রাক্তনী অভিযোগ করে যে অভিযোগ পাওয়ার পরও স্কুলের পক্ষে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি এই বিষয়ে। যদিও স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তারা কোনও অভিযোগ পায়নি। তবে স্বপ্রণোদিত হয়ে না কি সেই স্কুল শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়।
জানা গেছে, ২০ বছর ধরে স্কুলে পডা়নো সেই শিক্ষক দ্বাদশ শ্রেণিতে কমার্স এবং অ্যাকাউন্টেন্সি পড়াতেন। ছাত্রীদের অভিযোগ, মেয়েদের দেহ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করত অভিযুক্ত শিক্ষক। অনলাইন ক্লাস চলাকালীন শুধু তোয়ালে জড়িয়ে ছাত্রীদের মুভিতে যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন তিনি। এরপর ছাত্রীরা স্কুলে অভিযোগ জানান। ইনস্টাগ্রামেও শিক্ষকের সেই অবস্থার স্ক্রিনশট পোস্ট করা হয়।