তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যাত্রী পরিবহনে নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
চট্টগ্রাম নগরীর বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র জিইসি মোড় থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দরের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহনের মাধ্যমে এ পথ পাড়ি দিতে সময় লাগার কথা সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। কিন্তু নগরীর বেশ কিছু পয়েন্টে জ্যামের কারণে এইটুকু রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে দু’ঘণ্টা। এতে সাধারণ যাত্রীরা যেমন ভোগান্তিতে পড়ছেন তেমনি প্রায়ই নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে যাত্রীরা ব্যর্থ হচ্ছেন।
এমিরেটস এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রাম প্রধান আনোয়ার এইচ সিদ্দিকী বলেন, সব সময়ই জ্যামের কারণে ফ্লাইট মিস করার অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু অন টাইম ডিপারচারের কারণে এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার থাকে না।
অসহনীয় এ যানজট থেকে পরিত্রাণের জন্য সদরঘাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত নৌপথ চালু করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম সদরঘাট ও পতেঙ্গায় এ উপলক্ষে চালু করা হচ্ছে জেটি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, নৌপথ চালু করতে প্রয়োজনীয় কার্যাবলী সম্পন্ন করার জন্য একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে এ নৌপথে যাত্রী পরিবহনের জন্য চারটি ক্রুজ শিপ নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে বর্ষা মৌসুম এবং নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের সময় নৌপথে চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদ দিচ্ছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
ফোরাম ফর প্ল্যান চট্টগ্রামের সহ-সভাপতি স্থপতি সুভাস বড়ুয়া বলেন, নৌরুট হলে সেটা চট্টগ্রামবাসীর জন্য খুবই ভালো হবে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ সময়গুলোতে নৌরুটে যান চলাচলের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
নতুন এই নৌরুটে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নৌযান চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
কর্ণফুলী নদীর নৌপথ বন্দর নগরীর যানজট নিরসনের পাশাপাশি পর্যটন খাতেও রাখতে পারে বড় ধরনের ভূমিকা। আর এজন্য প্রয়োজন যথাযথ উদ্যোগ।