বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এ প্রবীণ রাজনীতিক।
মওদুদ আহমদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার একান্ত সহকারী মমিনুর রহমান সুজন। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানও এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে ৯ মার্চ বিকেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মওদুদ আহমদকে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়ার পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। তখনও তার অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল।
মওদুদের একান্ত সহকারী মমিনুর রহমান সুজন তখন জানান, স্যারের ফুসফুসে পানি জমে গেছে। যার কারণে ফুসফুসে অক্সিজেন গ্রহণক্ষমতা একেবারেই কমে গেছে। পাশাপাশি উনার কিডনি জটিলতাও দেখা দিয়েছে। আইসিইউতে নিয়ে উনার কিডনি ডায়ালাইসিসও শুরুর কথা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, অবস্থার অবনিত ঘটায় চিকিৎসকরা স্যারকে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারি মওদুদ আহমদ সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চার্লস থোর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস, বুকে ব্যথা অনুভব করলে গত ২৯ ডিসেম্বর মওদুদকে ঢাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় তার হৃদযন্ত্রে স্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়।
১৩ জানুয়ারি সিসিইউ থেকে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। ২০ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়। এরপর আবার ২১ জানুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশ ছাড়েন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ১৯৪০ সালের ২৪ মে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।