ব্যবসায়িদের ভোট ২৫ এপ্রিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে
আমার কণ্ঠ রিপোর্ট
হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন জমে উঠতে শুরু করেছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণ ততই বেড়ে চলেছে। ইতিমধ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সহ কার্যকরী কমিটির বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদ এবং বাজারের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীগণ মার্কা নিয়ে হেডবিল, লিপলেট ও স্টিকাল নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ব্যবসায়ীদের সাথে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে প্রচারনা ব্যস্ত।
গত এক সপ্তাহ যাবৎ অনুসন্ধান করে দেখা যায়, চাঁদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা হাজীগঞ্জ। যার প্রধান কারণ হাজীগঞ্জ বাজার। এ হাজীগঞ্জ বাজার আশ পাশের জেলা-উপজেলার সাধারণ মানুষের জন্য একটি বাণিজ্যিক শহর। প্রতিদিনই আশ পাশের জেলা-উপজেলার হাজার হাজার নারী পুরুষ এ হাজীগঞ্জ বাজারকে একটি পূর্ণাঙ্গ শহর মনে করে এখানে আসেন তাদের প্রয়োজনীয় নেকাকাটার জন্য। ত্রি-মূখী যোগাযোগের কারণে বহুযুগ পূর্ব থেকেই হাজীগঞ্জ বাজার বাণিজ্যক ভাবে বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী জেলায় সমাধৃত। বর্তমানেও এর ধারাবাহিকতা বিদ্যমান। পাশা পাশি হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের চোঁয়ায় আরো সমৃদ্ধিশালী হয়ে উঠেছে। এছাড়াও সুনামধন্য বিদ্যাপিঠ হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ, হাজীগঞ্জ মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, হাজীগঞ্জ পাইলট হাই স্কুল, হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হাজীগঞ্জ মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীগঞ্জ বালিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরো অনেক সরকারী বেসরকারী শিা প্রতিষ্ঠান এই হাজীগঞ্জের ঐতিহ্য ও সুনাম বৃদ্ধি করছে। এছাড়া এখানে রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ। এ মসজিদের আওতাধীন আধুনিক মার্কেটের কারণেও উন্নত মান বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারের গুরুত্ব অপরিসীম। যার জন্য হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনও আলোচিত। এ সমিতির নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেই ব্যবসায়ীদের মধ্যে যেন আনন্দ উদ্দিপনার সৃষ্টি হয়। তাই হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আগামী ২৫ এপ্রিল ব্যবসায়ি সমিতির নির্বাচন। নিবার্চণকে ঘিরে পুরো বাজারে সগরম হয়ে উঠঠে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বারের নির্বাচনে প্রার্থী বেশি হওয়ার নির্বাচনী আমেজও অন্যরকম।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক ব্যবসায়ী আমার কন্ঠকে বলেন, হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত মান সম্মত লোক। আমরা বাজারের শান্তি শৃংখলা রায় যোগ্য ও সৎ প্রার্থীকে বেচে নিবো। তাই ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনে আমরা শতর্ক রয়েছি।
এদিকে ২৯টি পদের মধ্যে ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দীতা গড়ে উঠলেও ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে সাবেক ১নং ওয়ার্ড কমিশনার আবু নোমান রিয়াজ এবং ২নং ওয়ার্ড কমিশনার পদে মেন্দু মিয়া ও আলহাজ্জ কবির আহম্মেদ এককভাবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেন। বুধবার যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিজয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মনি সূত্রধর, নির্বাচন কমিশনার ইকবালুজ্জামান ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে নির্বাচনে সকল প্রার্থীর কাছে একটাই দাবী তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। সেটি হলো- ব্যবসা বান্ধব প্রতিনিধি চাই। হাজীগঞ্জকে বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে হিসেবে ঘোষণা চাই। গত নির্বাচনের মতোই একটি উৎসব মুখর নির্বাচনের অপোয় রয়েছে চাঁদপুর জেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে,সভাপতি পদে বাই সাইকেল প্রতীকে আহসান হাবিব অরুন, গোলাপ ফুল প্রতীকে আশফাকুল আলম চৌধূরী,সহ-সভাপতি পদে মোমবাতি প্রতীকে আলহাজ্জ মিজানুর রহমান, দোয়াত-কলম প্রতীকে জামাল উদ্দিন তালুকদার ও হারিকেন প্রতীকে দেলোয়ার হোসেন,সাধারণ সম্পাদক পদে ছাতা প্রতীকে হায়দার পারভেজ সুজন ও আনারস প্রতীকে সালাহ উদ্দিন ফারুক মামুন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে হাতি প্রতীকে গাজী মোঃ নাছির উদ্দিন, প্রজাপতি প্রতীকে শেখ তোফায়েল আহম্মেদ, কাপ-পিরিচ প্রতীকে আবুল কালাম আজাদ, বই প্রতীকে সাহাবুদ্দিন সাবু ও বাঘ প্রতীকে সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চাকা প্রতীকে মোঃ মাসুদ হোসেন, মই প্রতীকে আলী নেওয়াজ রোমান, মাছ প্রতীকে আবু হেনা বাবলু ও টেবিল প্রতীকে শহীদুল্যাহ, কোষাধ্য(অর্থ সম্পাদক) পদে সিলিং ফ্যান প্রতীকে সাংবাদিক হাছান মাহমুদ ও উড়োজাহাজ প্রতীকে মজিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক পদে তালাচাবি প্রতীকে আবুল কাশেম মুন্সী, কলম প্রতীকে মোরশেদুল আলম ও হরিণ প্রতীকে জামাল হোসেন মজুমদার, প্রচার সম্পাদক পদে আম প্রতীকে জসীম উদ্দিন, টেলিভিশন প্রতীকে ইমামুল হাসান হেলাল, বক প্রতীকে হারুন অর রশিদ, নলকূপ প্রতীকে কাউছার আহম্মেদ ও বটগাছ প্রতীকে বাহালুল আলম খোকন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আবু নোমান রিয়াজ নির্বাচিত, বাণিজ্য সম্পাদক পদে মোটর সাইকেল প্রতীকে মোশারফ হোসাইন লিটন ও স্টীল আলমারি প্রতীকে মোহাম্মদ হোসেন, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক পদে দোয়েল পাখি প্রতীকে ইমরান হোসেন, টেবিল ফ্যান প্রতীকে সুমন কর্মকার, ঘুড়ি প্রতীকে ইলিয়াছ মিজি ও মাইক প্রতীকে হাফেজ মোঃ আবুল কাশেম, কমিশনার পদে ১নং ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীকে মোঃ মনির হোসেন, ডাব প্রতীকে মোশারফ হোসেন টিটু, বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে আকতারুজ্জামান, মোবাইল প্রতীকে জাকির হোসেন, জগ প্রতীকে মহিবুর রহমান খোকন, ২নং ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীকে এসএম ইবরাহিম খলিল পাটওয়ারী, ডাব প্রতীকে মনির হোসেন সাগর ও মোবাইল সেট প্রতীকে রফিকুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ডে ডাব প্রতীকে মোঃ মহিউদ্দিন, মোবাইল সেট প্রতীকে জিসান আহম্মেদ ছিদ্দিকী, হাতঘড়ি প্রতীকে অলি উল্যাহ, মোরগ প্রতীকে খন্দকার হারুন অর রশিদ ও বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে আমীর হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডে আলহাজ্জ কবির আহম্মেদ ও মেন্দু মিয়া নির্বাচিত, ৫নং ওয়ার্ডে মোবাইল সেট প্রতীকে মোঃ জামাল মিয়া, মোরগ প্রতীকে হাবিবুর রহমান, জগ প্রতীকে লিটন হোসেন, বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে খোরশেদ আলম ও ডাব প্রতীকে মিজানুর রহমান, ৬নং ওয়ার্ডে বালতি প্রতীকে মোঃ বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, মোবাইল সেট প্রতীকে নূরে আলম ভূঁইয়া সেলিম, মোরগ প্রতীকে তাপস সাহা, ডাব প্রতীকে নিতাই চন্দ্র সাহা ও বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে হেলাল উদ্দিন এবং ৭নং ওয়ার্ডে ডাব প্রতীকে দয়াল রঞ্জন চক্রবর্তী, হাত ঘড়ি প্রতীকে মাসুদ মজুমদার, মোবাইল সেট প্রতীকে আল আমিন, মোরগ প্রতীকে মানিক মজুমদার ও বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে অহিদুল ইসলাম মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। চলতি বছর নতুনভাবে ৬শ’রও বেশি ভোটার অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।
আরও জানা গেছে, ১নং ওয়ার্ডে ৪৩১ জন, ২নং ওয়ার্ডে ২২৫ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ৩৬৪ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ১৯৬ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ২২৮ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ২০৬ জন ও ৭নং ওয়ার্ডে ৭৭২ জন ভোটার আগামী ২৫ এপ্রিল প্রত্য ভোটে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন। ২৯টি পদের মধ্যে প্রতিটি সম্পাদকীয় পদে ১ জন করে ও ১নং ওয়ার্ডে ২ জন, ২নং ওয়ার্ডে ২ জন, ৩নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৪নং ওয়ার্ডে ২ জন, ৫নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৬নং ওয়ার্ডে ২ জন ও ৭নং ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থী নির্বাচিত হবেন।